বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বেদখল ৯০ বিঘা জউিদ্ধার নিয়ে সংশয়

পাবনা মানসিক হাসপাতাল
আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, পাবনা
  ১২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

৯০ বিঘা জেিবদখলে গিয়ে বিশেষায়িত পাবনা মানসিক হাসপাতালের বিশ্বমানের উন্নীতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বেদখলে থাকা জমিগুলো উদ্ধারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না থাকায় প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টসহ জেলার সচেতন মহলেও সংশয় দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মানসিক রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে সদর উপজেলার হিমাইতপুরে ৪১৩ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৫শ শয্যাবিশিষ্ট মানসিক হাসপাতাল। আগে এই জমির খাজনা দেওয়া হতো। এর মধ্যে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছে ৯৩ বিঘা জমি। বর্তমানে পাবনা মানসিক হাসপাতাল খাজনা দিচ্ছে ২৩০ বিঘা জমির। রহস্যজনকভাবে অবশিষ্ট ৯০ বিঘা জেিবশি বেহাত হয়ে গেছে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা থাকায় ও জঅিধিগ্রহণের কোনো ঝামেলা না থাকায় দীর্ঘদিন নানা সমস্যায় জর্জরিত পাবনা মানসিক হাসপাতালকে বিশ্বমানের হাসপাতাল করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি টিপাবনা মানসিক হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তথ্যানুসন্ধানে হাসপাতালটির ৯০ বিঘা জমি

\হবেদখল হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। সে সময় সংশ্লিষ্ট টিযে নির্দেশনা দিয়েছিল তার মধ্যে ৯০ বিঘা জদ্রিম্নততসময়ের মধ্যে উদ্ধারের কথা ছিল। অথচ ৬ মাসেও জউিদ্ধারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অগ্রগতি নেই বলে জানা যায়।

পাবনা মানসিক হাসপাতালের সাইক্রিয়াটিস্ট মকবুল হোসেন ওরফে পাশা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির ২১ মার্চ মাসিক সভায় মানসিক হাসপাতালের ৯০ বিঘা জউিদ্ধারসহ অন্য সমস্যা দ্রম্নত সমাধানে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে বিষয়টি চাউর হয়ে ওঠে। তিনি বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আধুনিক মানের হাসপাতালটিতে মানসিক রোগী এবং স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, 'পাবনা মানসিক হাসপাতালের হারিয়ে যাওয়া জউিদ্ধারে মূলত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই উদ্যোগ নিতে হবে। জউিদ্ধারের জন্য সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) জেিরকর্ড সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। জঅিন্য মানুষের নােেরকর্ড হয়ে আছে সেটা আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জউিদ্ধারে সব সহযোগতিা করতে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে।

আর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোকসানা মিতা বলেন, মানসিক হাসপাতালের জিিবভিন্ন নােেরকর্ড হয়েছে। ওগুলো নিয়অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।'

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, জমির বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সমন্বিত প্রচেষ্টায় জউিদ্ধারসহ অন্য সমস্যা সমাধান করা হবে।'

পাবনা গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার জানান, 'পাবনা মানসিক হাসপাতাল বিশ্বমানের হবে সেটা আমরা শুনেছি। জমির সমস্যা দ্রম্নত সমাধান করা প্রয়োজন। তবেই সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা সম্ভব।'

পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাফারুক প্রিন্স বলেন, 'পাবনা মানসিক হাসপাতাল বিশ্বমানের করতে যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন, আমাদের পক্ষ থেকে করা হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে