এক সপ্তাহে ৮০ কোটি ৭১ লাখ টাকার মাছ-মাংস ও দুধ বিক্রি

করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গত বছরের মতো এ বছরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও বিভিন্ন প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। গত ০৭ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও গত ৫ এপ্রিল থেকে এ ব্যবস্থায় সারাদেশে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও বিভিন্ন প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয় চলছে। এর মাধ্যমে দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪ জেলায় গত এক সপ্তাহে মোট ৮০ কোটি ৭১ লাখ ২৮ হাজার ৭৭৭ টাকা মূল্যের মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, পোল্ট্রি ও বিভিন্ন প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয় হয়েছে। সোমবার মৎস্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, এ বছর জেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে সংশ্লিষ্ট জেলার মৎস্য দপ্তর ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় ডেইরি ও পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমে খামারিগণ নিজেদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাদের নিকট বিক্রয় করতে পারছেন। গত এক সপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে খামারিগণ তাদের উৎপাদিত ৭৭ কোটি ৭৭ লাখ পাঁচ হাজার ২১৫ টাকার দুধ, ডিম, মাংস, পোল্ট্রি ও বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য এবং দুই কোটি ৯৪ লাখ ২৩ হাজার ৫৬২ টাকার মাছ বিক্রয় করেছে। উলেস্নখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাজারজাতকরণ সংকটে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এবং ভোক্তাদের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থা চালু করা হয়। গত বছর করোনা সংকটে প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা মূল্যের খামারিদের উৎপাদিত মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রয় করা হয়েছে।