বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ বিদায়ের পথে ব্রিটিশ রানির স্বামী প্রিন্স ফিলিপ

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
প্রিন্স ফিলিপের কফিন সেইন্ট জর্জেস গির্জা প্রাঙ্গণে সমাহিতের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে -বিবিসি

ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী 'ডিউক অব এডিনবরা' প্রিন্স ফিলিপকে শুধু পরিবার-পরিজনদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় আয়োজনে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। শনিবার ফিলিপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানের পর উইন্ডসর প্রাসাদের সেইন্ট জর্জেস গির্জা প্রাঙ্গণে তাকে সমাহিত করা হয়। এর মধ্য দিয়েই ব্রিটিশ রাজপরিবারের দীর্ঘতম জুটির অধ্যায়ের অবসান হলো। সংবাদসূত্র :বিবিসি, রয়টার্স

করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রিন্স ফিলিপের শেষযাত্রায় অংশ নেন রাজপরিবারের মাত্র ৩০ জন সদস্য। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে ৯৪ বছরের রানি এলিজাবেথ কালো রঙের পোশাকে উপস্থিত ছিলেন। তার ও ফিলিপের ৭৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তিতে স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধাবনত ছিলেন তিনি। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে যুবরাজ প্রিন্স চার্লস এবং পরিবারের অন্য জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।

রাজপরিবারে বর্ণবাদের অভিযোগ ওঠার পর দাদা ফিলিপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার এই অনুষ্ঠান দুই ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারিকে প্রথমবার জনসম্মুখে কথা বলার সুযোগ করে দেয়। প্রিন্স হ্যারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে গিয়ে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ভাইয়ের পাশে হাঁটেন এবং কথা বলেন। আলাপ করেন ভাবী কেট মিডলটনের সঙ্গেও।

গত ৯ এপ্রিল ৯৯ বছর বয়সে প্রিন্স ফিলিপ উইন্ডসর প্রাসাদে মৃতু্যবরণ করেন। নিজের পছন্দমতো নকশা করা জলপাই রঙের ল্যান্ড রোভারে করে শেষযাত্রায় নেওয়া হয় প্রিন্স ফিলিপকে। মহামারির কারণে বিধিনিষেধ থাকায় তার মরদেহ সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হয়নি। তবে পুরো অনুষ্ঠানটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

শেষকৃত্যানুষ্ঠানের শুরুতেই প্রিন্স ফিলিপের মরদেহ উইন্ডসর দুর্গের প্রবেশপথে নিয়ে আসা হয়। যাত্রাপথে ছিলেন রানি ও ডিউকের চার সন্তান প্রিন্স চার্লস, অ্যান্ড্রু, এডওয়ার্ড ও প্রিন্সেস অ্যান।

স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৩টায় মূল শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রার পেছনেই রাজকীয় বেন্টলি গাড়িতে ছিলেন রানি এলিজাবেথ। শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ না পেলেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে প্রিন্স ফিলিপের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ সময় যুক্তরাজ্যজুড়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এ শেষকৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে জাতীয় শোক পালন শেষ হয়। তবে রাজপরিবার আরও এক সপ্তাহ ধরে শোক পালন করবে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় তারা কালো পোশাক পরবেন।

শবযাত্রা শুরুর আগে সামরিক ব্যান্ড প্রিন্স ফিলিপের পছন্দের সংগীত বাজিয়ে শোনায়, যার মধ্যে ছিল 'আই লাভ টু মাই কান্ট্রি', 'জেরুজালেম' এবং 'নিমরড'। হ্যারির স্ত্রী মেগান সন্তানসম্ভবা থাকার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাননি। তবে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার নিজ বাসায় অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখেছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার ঘনিষ্ঠজনরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে