বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হঠাৎ কমল পেঁয়াজের দাম

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

'কিছুদিন আগে ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছিল। এতে দাম আরও বেড়ে ৪৫ টাকা হয়ে যায়। এখন হঠাৎ কমে পেঁয়াজের কেজি ৩৫ টাকা হয়েছে। কিন্তু আগের সেই ক্রেতা নেই। আসলে মানুষের আচরণ বোঝা বড় দায়। যখন দাম বাড়ে তখন কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে, আর দাম কমলে খবর থাকে না।' এভাবেই পেঁয়াজের হঠাৎ দরপতন নিয়ে আক্ষেপ করছিলেন রামপুরার ব্যবসায়ী মো. আলামিন।

গত ৫ এপ্রিল সরকার মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে প্রথম দফায় এক সপ্তাহের লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপের আগে পাইকারিতে ২৯-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল পেঁয়াজ। লকডাউনের ঘোষণার পর রাজধানীর বাসিন্দারা বাড়তি কেনাকাটা শুরু করলে পেঁয়াজের কেজি উঠে যায় ৪৫ টাকায়। এরপর কিছুটা দাম কমলেও দ্বিতীয় দফায় সরকার এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলে আবার পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজি ৪০-৪৫ টাকায় ওঠে। তবে বিধিনিষেধের মধ্যে বাজারে ক্রেতাদের চাপ কমায় শনিবার থেকে পেঁয়াজের দাম আবার কমা শুরু হয়েছে। দুই দফায় দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে আবার আগের দামে ফিরে গেছে।

রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের খুচরা পর্যায়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। আর পাইকারিতে পেঁয়াজ কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯-৩০ টাকা কেজি।

পেঁয়াজের দামে এমন উত্থান-পতনে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন খুচরা ও পাইকারি উভয় শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, দাম বাড়ার পর পেঁয়াজের বাজার এভাবে হুট করে পড়ে যাবে, তা কেউ ধারণাও করতে পারেননি। তাদের ধারণা ছিল- পেঁয়াজের দাম আরও একটু বাড়তে পারে। এ কারণে দাম বাড়ার শুরুতে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ কিনে রাখেন।

ব্যবসায়ীরা আরও বলছেন, বাজারে এখন ভালো মানের হালি পেঁয়াজে ভরপুর। এই পেঁয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। দাম কমে যাওয়ার পরও এই ভালো মানের পেঁয়াজ এখন ক্রেতারা কিনছেন না। অথচ কিছুদিন আগে যখন দাম বেড়ে যায়, তখন এক শ্রেণির ক্রেতা পেঁয়াজ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে