রাখাইনদের 'সাংগ্রাই' উৎসব সীমিত পরিসরে

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

ম জাবেদ আবেদীন শাহীন, কক্সবাজার
করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া পরিবেশে রাখাইন সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ ও বিদায়ের তিন দিনব্যাপী 'সাংগ্রাই' বা জলকেলি উৎসবের দ্বিতীয় দিন ছিল রোববার। ১৪ এপ্রিল চন্দন জলে বুদ্ধ স্নানের মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় করোনা মহামারি থেকে মুক্তিলাভে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। রোববার দুপুর থেকে শুরু হওয়া সীমিত আয়োজনে জলকেলিতে মেতে ওঠে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। সরেজমিন দেখা যায়, কক্সবাজার শহরের টেকপাডা, হাঙরপাডা, বার্মিজ স্কুল এলাকা, পূর্ব-পশ্চিম মাছ বাজার, ক্যাংপাডা ও বৈদ্যঘোনাস্থ থংরো পাড়ায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন চলমান থাকায় উৎসবে আগের মতো আনন্দ উলস্নাস নেই। প্যান্ডেলগুলো ছিল কমসংখ্যক রাখাইন তরুণ-তরুণীর ভিড়। আগে যেখানে ২০/২৫টি জলকেলির প্যান্ডেল হতো। এখন করোনা মহামারির কারণে তা কমে নেমে এসেছে ৬/৭টিতে। তাও প্যান্ডেলগুলো ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি করা। প্যান্ডেলে ছোট ছোট শিশুরা বসে ছিল। কিছুক্ষণ পর পর রাখাইন তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে জল ছিটিয়ে তাদের পুরনো বছরের হতাশা দূর করে নতুন বর্ষে নব আলোকে পথ চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অনেকে। রাখাইন তরুণ-তরুণীরা মাথ্রেনতিন, মংলাই, মংকিউইং, মংথ্রে জানান, রাখাইন নববর্ষ উপলক্ষে আদিকাল থেকে সামাজিকভাবে সাংগ্রে পোয়ে উৎসব পালন হয়ে আসছে। এবার করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব হচ্ছে সীমিত পরিসরে। এ নববর্ষ উপলক্ষে আমরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটানোর মধ্য দিয়ে পুরনো দিনের সব ব্যথা, বেদনা, হিংসা বিদ্বেষ ভুলে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং জানান, বর্ষবরণ ও পুরনো বছরকে বিদায় জানাতে রাখাইন সম্প্রদায়েরে সাংগ্রাই বা জলকেলি উৎসবে মেতে ওঠেন। এটি রাখাইন সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির অংশ।