বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোভিড-১৯ উদ্যোক্তাবান্ধব তহবিল বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মানুষ উপকৃত হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কোভিড-১৯ বিশ্ব অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মানুষের জীবন বাঁচাতে এখন মেডিকেল পণ্যের খুবই প্রয়োজন। তাই বিশ্বব্যাংক মেডিকেল পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে  দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে করোনা প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও চিকিৎসাসামগ্রীর চাহিদা ও সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো।

রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভার্চুয়ালি কোভিড-১৯ উদ্যোক্তাবান্ধব তহবিলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ডক্টর মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেমপন, ইআরএফ ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের টিম লিডার ডেভ রঙ্গানিকালো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) এবং এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংক গ্রম্নপের বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ হোসনা ফেরদৌস সুমি প্রমুখ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ কর্মসূচি একটি মাইলস্টোন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইকু্যইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইকু্যইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। এ ধরনের সহায়তা সময়োপযোগী পদক্ষেপ। আমাদের দক্ষতা দিয়ে এ কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ তহবিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মানুষ উপকৃত হবে।

সালমান এফ রহমান এমপি বলেন, সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রপ্তানির বৈচিত্র্য বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান তৈরি করা, যা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। কোভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রেসপন্ড ফান্ডের (সিইআরএফ) মাধ্যমে এ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় ও বিশ্বাবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে উপকৃত হবে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়ন টিমবন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দ্রম্নত পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, এতে বিশ্বব্যাংকও এগিয়ে এসেছে। করোনা প্রতিরোধসামগ্রীর উৎপাদনে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০টির মতো আবেদন এই কর্মসূচির সুবিধা পাবে।

ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর আমাদের ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্ষতি হতে পারে। তবে এতে আমরা ভীত নই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব। আমাদের মূল কাজ পণ্য ও বাজার বহুমূখীকরণ করা। ইসিফোরজে প্রকল্পের মাধ্যমে তা সহজ হবে। নতুন এ কর্মসূচিতে যোগ্য আবেদনকারীদের মধ্যে 'আগে আসলে আগে পাবেন' ভিত্তিতে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে