বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাওড় অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাস

যাযাদি রিপোর্ট
  ২০ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

ভারী বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে হাওড় অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, আগামী দুই দিন প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি গত দিনগুলোর চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী সপ্তাহে বন্যা আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বৃষ্টির কারণে হাওড়াঞ্চলের জেলাগুলোয় আকস্মিক বন্যারও আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার ২৪ ঘণ্টায়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ৫৭ মিলিমিটার, সিলচরে বৃষ্টিপাত হয় ৫২ মিলিমিটার, চলপাইগুড়িতে ৪৫ মিলিমিটার ও গ্যাংটকে বৃষ্টি হয়েছে ২৪ মিলিমিটার। এসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বন্যা আসতে পারে। তবে সে সময়ের মধ্যে হাওড়ের পুরো ধান কাটা সম্ভব হবে না। যদি গত বছরের মতো সমন্বিত ধান কাটার উদ্যোগ না নেওয়া হয়। লকডাইনের মধ্যে দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে ধান কাটার শ্রমিক হাওড়ে পাঠানোর উদ্যোগ নিতে কৃষি মন্ত্রনালয়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উজানে বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেট বিভাগের হাওড় অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। আগাম বন্যা সম্পর্কিত সব তথ্যের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সব তথ্যের জন্য কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বও : ০১৩১৮২৩৪৯৬২ ০১৫৫২৩৫৩৪৩৩ ০১৭৭০৫১০৮২৬। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে হাওড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। হাওড়ে বোরো ধান প্রায় পাকতে শুরু করেছে।

গতকাল সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৯টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ২১টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর ১৫টি পয়েন্টে পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে তিনটি পয়েন্টে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূইয়া যায়যায়দিনকে বলেন, দেশর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কুশিয়ারা নদী ব্যতীত সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার প্রধান প্রধান নদীগুলোর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে