যুবকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ফেনীতে তিন পুলিশ সদস্য ক্লোজড

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

ম ফেনী প্রতিনিধি
লকডাউন চলাকালে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডস্থ মডেল হাইস্কুলের সামনে পুলিশের সঙ্গে এক যুবকের বাগ্‌বিতন্ডা ও ধস্তাধস্তির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক মাস্কবিহীন অবস্থায় রিকশাযোগে শহরের উকিলপাড়া থেকে ট্রাংক রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মডেল হাইস্কুলের সামনে দায়িত্বরত মডেল থানার এসআই যশোমন্ত মজুমদারসহ পুলিশ সদস্যরা তার রিকশার গতিরোধ করেন। তখন ওই যুবক চিৎকার করে বলতে থাকে- 'অন্য রিকশা ছেড়ে দিছস। আমার রিকশা কেন ধরেছিস।' এক পর্যায়ে রিকশা থেকে জোরপূর্বক নামানোর পর ওই যুবক পুলিশদের গালমন্দ করতে থাকে। পুলিশ সদস্যরা তাকে 'পাগল' আখ্যা দিলে কেন পাগল বলা হয়েছে তার কারণও পুলিশের কাছে জানতে চায় সে। বারবার উপস্থিত মানুষদের ভিডিও করার জন্যও বলতে থাকে সে। এ সময় যুবকের হাতে হাতকড়া লাগানোর চেষ্টা করলে ৪ পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার। তখন হাতকড়া লাগাতে না পেরে এক পুলিশ সদস্য তাকে পিছমোড়া করে রাস্তায় চেপে ধরলে সড়কের আশপাশে থাকা লোকজন উচ্চস্বরে হইচই করতে থাকে। হাতকড়া লাগানোর পরও দাঁড়িয়ে ওই যুবক পুলিশকে কিল-ঘুষি মারতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই যুবক সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের ভূঞারহাট এলাকার বাসিন্দা। তার নাম শহীদুল ইসলাম। সে যুবলীগের সক্রিয় সদস্য। এদিকে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার এস এম নুরনবী ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন পুলিশ সদস্য- একজন এসআই, একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে স্থানান্তর করার কথা জানান। ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, থানায় নেওয়ার পর জানা গেছে ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। সে কিছুদিন পরপর ভাইরাল হতে চায়। ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না মর্মে মুচলকো দিলে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।