শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব

পোশাকের আমদানি কমেছে ২৩ শতাংশ

যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট চাহিদা মন্দার কারণে ২০২০ সালের জানুয়ারি-আগস্ট সময়ে বিশ্বব্যাপী পোশাকের আমদানি ২৩ শতাংশ কমে গেছে। 'বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার পোশাক খাতের পুনরুদ্ধার : ভ্যালু-চেইনভিত্তিক সমাধান কি সম্ভব?' শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সংলাপে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এবং ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজ অফ শ্রীলঙ্কার (আইপিএস) এবং ৫২টি চিন্তক প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নেটওয়ার্ক সাউদার্ন ভয়েজের সহযোগিতায় এই সংলাপটি আয়োজন করা হয়। বুধবার সিপিডি থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংলাপে বক্তারা বলেন, 'পোশাক খাতের ভ্যালু চেইনের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পর্যায়ে যে মধ্যমেয়াদি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছিল তা দীর্ঘমেয়াদে চলা কোভিড-১৯ মহামারিতে সৃষ্ট চাহিদা মন্দার কারণে ব্যাহত হচ্ছে।'

তারা বলেন, 'শুধুমাত্র জাতীয়-স্তরের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই মধ্যমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা ক্রমাগত কঠিন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কাসহ অনেক সরবরাহকারী দেশের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতিতে চলেছে। এ প্রেক্ষিতে ভ্যালু-চেইনভিত্তিক সমাধান এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।'

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিশেষ বক্তা ছিলেন, শ্রীলঙ্কার স্ট্রেটেজিক ট্রান্সফরমেশন এমএএস হোল্ডিংস'র পরিচালক হুসনি সালিহ ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সজেঞ্জ'র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন। আরও বক্তব্য রাখেন, শ্রীলঙ্কার ডিজাইন কালেক্টিভ স্টোরের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিনু বিক্রমাসিংহে, গেস্নাবাল প্রডাকশন এইচঅ্যান্ডএম গ্রম্নপের হেড অব সাসটেইনেবিলিটি পিয়েরে ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বেটার ওয়ার্ক ড্যান রিস প্রমুখ।

সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং আইপিএসের অর্থনীতিবিদ কিথমিনা হিউজ। তারা জানান, গবেষণায় দেখা গেছে যে, বড় দেশগুলো এই মহামারির সময়ে সীমাবদ্ধসংখ্যক সোর্সিং দেশগুলোতে বেশি গেছে। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ক্রেতাদের কাছ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। মহামারিকালে (জানুয়ারি থেকে জুন ২০২০) ক্রেতারা রপ্তানি আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কয়েকটি বড় সরবরাহকারী দেশকে বঞ্চিত করেছে।

তারা আরও জানান, বিশ্লেষণে দেখা যায়, সরবরাহকারী দেশগুলোতে অতিরিক্ত দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের অর্ডার পুনরায় বিতরণ করা যেতে পারে যদি কোভিড পূর্ব সময়ের রপ্তানির আদেশের অংশ বজায় রাখা সম্ভব হয়।

সমীক্ষায় প্রস্তাব করা হয়েছে, যে কোনো বড় বৈশ্বিক সংকটের ক্ষেত্রে কমপক্ষে সংকট-পূর্ব পর্যায়ের রপ্তানি আদেশ নিশ্চিত করার জন্য একটি পুনঃবিতরণ পদ্ধতি অব্যাহত রাখতে হবে, বিশেষত যেসব দেশ আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।

সংলাপের মন্তব্যে বলেন, 'ভ্যালু-চেইনের মান বেড়ে যায় যদি সকল অংশীজন একসঙ্গে কাজ করে, বিশেষ করে এ রকম সংকটময় পরিস্থিতিতে। তুলনামূলকভাবে বৈচিত্র্যময় তবে বিদ্যমান ভ্যালু-চেইনের মধ্যে সহনশীলতা তৈরির মাধ্যমে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সংকট সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে