চুক্তিভিত্তিক বিয়ের বৈধতা নেই: হাক্কানী আলেম সমাজ

প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
'দেশে চুক্তিভিত্তিক বিয়ের কোনো বৈধতা নেই' উলেস্নখ করে হাক্কানী আলেম সমাজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হেফাজত নেতা মামুনুল হক ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে তার অনৈতিক কর্মকান্ড বৈধ করার যে চেষ্টা চালাচ্ছেন তা দেশের আলেম সমাজ মেনে নেবে না। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হাক্কানী আলেম সমাজ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন পীর মুফতি এহসানুল হক আল মোজ্জাদ্দেদী। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, 'পবিত্র ইসলাম ধর্মকে হেফাজত ইসলাম নামের সংগঠনটি যেভাবে কলঙ্কিত করে আসছে তাতে আলেম সমাজ লজ্জিত ও হতভম্ভ। গত ২৫ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতের সদস্যরা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে যে ক্ষতি করেছে তা ইসলাম সমর্থন করে না।' সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, 'সম্প্রতি হেফাজতের এক নেতা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েন, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। দেশে চুক্তিভিত্তিক বিয়ের কোনো বৈধতা নেই। কিন্তু মামুনুল হক অপব্যাখ্যা দিয়ে তার অনৈতিক কর্মকান্ড বৈধ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেটি দেশের আলেমরা মেনে নেবে না।' লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, 'সম্প্রতি বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের বলাৎকারের চিত্র যেভাবে প্রকাশ পাচ্ছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও জঘন্যতম অপরাধ। হেফাজতের অনেক নেতা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মকে কলঙ্কিত করছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।' সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনের সভাপতি ডক্টর কাফিলদ্দিন সরকার সালেহী বলেন, '২০১০ সালে অরাজনৈতিক দল হিসেবে হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়। ইমান, আলেম ও দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করা ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেখান থেকে বিচু্যত হয়ে তারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে পড়েছেন।' তিনি বলেন, 'বর্তমান করোনা মহামারিতে চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও কওমি মাদরাসা খোলা রাখা হয়। যেকোনো মুহূর্তে কওমি শিক্ষার্থীদের মাঠে নামিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা ছিল তাদের প্রধান লক্ষ্য।' সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডক্টর আবদুল মোমেন সিরাজী, কারি হাফিজুল হক, লোকমান সাইফুল, মুফতি ফয়জুলস্নাহ (ঢাকা সেন্ট্রাল জেল ইমাম), মাওলানা মঈনউদ্দিন ফারুকী প্রমুখ।