ভার্চুয়াল আদালত ১৭ কার্যদিবসে জামিনে মুক্ত ২৯ হাজার ২৯১ হাজতি

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে সারাদেশের অধস্তন আদালতগুলোতে ১৭ কার্যদিবসে ৫৪ হাজার ৯৬৯টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যেেমাট ২৯ হাজার ২৯১ জন হাজতি জামিনে কারামুক্ত হলেন। সময়ে জামিনপ্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৩৮৮ জন। এসব শিশুর মুক্তিতে সাধুবাদ জানিয়েছে ইউনিসেফ। দ্বিতীয় দফার লকডাউনের ১৭ কার্যদিবসের মধ্যে বুধবার ৩ হাজার ৮৭টি আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি ও নিষ্পত্তি করে এক হাজার ৪৪৭ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিকোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর প্রথদফায় ২০২০ সালের ১১ েেথকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৫৮ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইবু্যনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৯টি ফৌজদারি মামলায় জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয় এবং ৭২ হাজার ২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির (শিশুসহ) জামিন মঞ্জুর করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিকোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, প্রাদুর্ভূত মহামারির (কোভিড-১৯) ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যজোমিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে আদালত ও ট্রাইবু্যনালের কার্যক্রপরিচালনা করতে হবে।' এছাড়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। শিশুদের মুক্তিতে ইউনিসেফের সাধুবাদ এদিকে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যবোংলাদেশের আটক কেন্দ্রগুলো থেকে ৩৪৫ শিশুকে মুক্তি দেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, এটি বাংলাদেশে শিশুদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং শিশুদের জন্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও তাদের সর্বোত্তস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুএিক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিকোর্ট ইউনিসেফের সহায়তায় ২০২০ সালের মোসে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রচালু করে। এরপর থেকে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যএেক হাজার চারশরও বেশি শিশুকে আটক কেন্দ্র থেকে মুক্ত করা হয়েছে। শিশুদের মধ্যে ০.৫ শতাংশেরও কতাদের মুক্তির পর আবার অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, আটকে রাখা হলে তা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই অপ্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এড়ানো উচিত। যেসব শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং যারা এর শিকার বা সাক্ষী, তাদের জন্য আটকে রাখা ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানাচ্ছে ইউনিসেফ। যেসব শিশু নিরাপদে তাদের পরিবারে বা উপযুক্ত বিকল্প যত্নে ফিরে যেতে পারে তাদের আটক কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। বিবৃতিতে উলেস্নখ করা হয়, অতিমারি চলাকালে বাংলাদেশ শিশুদের সুবিধা ও তাদের অধিকারের জন্য বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যশেক্তিশালী নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছে। শিশুদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সুযোগ উন্নত করতে বাংলাদেশ সরকার, সুপ্রিকোর্টের শিশু অধিকার বিষয়ক বিশেষ কমিটি এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত ইউনিসেফ। ২০১৩ সালের শিশু আইনের প্রয়োগ জোরদার করার মাধ্যআেমরা বাংলাদেশে পুলিশিসহ সব পর্যায়ে শিশুদের আটকে রাখা ঠেকাতে পারি।