মেট্রোরেলের আরও ৬ বগি এলো মোংলায়

প্রকাশ | ১০ মে ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জাহাজ থেকে নামানো হচ্ছে বগি
দ্বিতীয় চালানে ঢাকার মেট্রোরেলের আরও ছয়টি বগি মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে। এ নিয়ে এই বন্দরে মেট্রোরেলের দুটি চালান এলো। এর আগে গত ৩১ মার্চ ছয়টি কোচনিয়ে এসেছিল প্রথম চালান। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা জানান, জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছয়টি কোচনিয়ে ছেড়ে আসা বেলিজ পতাকাবাহী জাহাজ 'এমভি ওশান গ্রেস' রোববার দুপুরে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। তিনি জানান, ২১ এপ্রিল সকালে জাহাজীকরণ শেষে জাপানের কোবে সমুদ্রবন্দর থেকে দ্বিতীয় চালানের ছয় সেট ট্রেন নিয়ে বাংলাদেশে রওনা দিয়েছিল 'এমভি ওশান গ্রেস'। এ নিয়ে মোংলা বন্দরে মেট্রোরেলের দুটি চালান পৌঁছাল। এমভি ওশান গ্রেস জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিমশিপ কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, 'ছয়টি কোচনিয়ে বেলিজ পতাকাবাহী জাহাজ 'এমভি ওশান গ্রেস' মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। আমরা যত দ্রম্নত সম্ভব খালাস শুরু করব।' ঢাকা ম্যাসর্ যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-০৮ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবিএম আরিফুর রহমান বলেন, 'মেট্রোরেলের লাইন-৬ কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-০৮ আওতায় এর জন্য ২৪টি যাত্রীবাহী রেল কোচ আমদানি করা হবে। প্রতিটি কোচে ছয়টি কোচথাকবে।' মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি। প্রতি সেট ট্রেনের দুপাশে দুটি ইঞ্জিন থাকবে। এর মধ্যে থাকবে চারটি করে কোচ। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্ট বিদু্যৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোতে থাকবে লম্বালম্বি আসন। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুপাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা হবে এক হাজার ৭৩৮ জন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মুসা জানান, খুব দ্রম্নত বগিগুলো খালাস শুরু হবে। ২০২২ সালের মধ্যে ২৪টি জাহাজে আরও ১৪৪টি কোচমোংলা বন্দর থেকে খালাস হবে। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের এমআরটি-৬ নামে এই প্রকল্পটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। ২০২০ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে প্রকল্পের সার্বিক গড় অগ্রগতি ছিল ৪১ দশমিক ২৬ শতাংশ, মার্চে তা দাঁড়ায় ৪৪ দশমিক ১২ শতাংশ, এপ্রিলে ৪৪ দশমিক ১২ শতাংশ এবং মে নাগাদ অগ্রগতি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪ দশমিক ৬৭ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রকল্পটি দুটি অংশ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথমটি উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। এই অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ২০২০ সালের মে মাসে হয়েছে ৭১ দশমিক ১২ শতাংশ, যেখানে ওই বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে ছিল ৬৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ২০২০ সালের মে মাসে হয়েছে ৩৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যেখানে ওই বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে ছিল ৩৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। বিডিনিউজ