গবেষণা জরিপে তথ্য

শিখতে না পারার ঝুঁকিতে প্রায় ৬০ লাখ শিক্ষার্থী

প্রকাশ | ১১ মে ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। আর এ সময়ে দেশের প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ ও মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার (লার্নিং লস) ঝুঁকিতে আছে। দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে এ সংখ্যা হবে প্রায় ৬০ লাখ। গবেষণাটি গত ১১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শহর ও মফস্বলের প্রায় ৬ হাজার ৯৯ জন অভিভাবকের ওপর জরিপের ভিত্তিতে করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার হাল-হকিকত নিয়ে 'পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)' ও 'ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি)' যৌথ উদ্যোগে একটি গবেষণা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার অনলাইনে এক অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য তুলে ধরেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিলস্নুর রহমান এবং বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন। হোসেন জিলস্নুর রহমান বলেন, গবেষণায় উঠে আসা শিখতে না পারার ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীদের শতাংশ দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের মোট শিক্ষার্থীর সঙ্গে মেলালে প্রায় ৬০ লাখ শিক্ষার্থী এ ঝুঁকিতে আছে। তারা ঝরে যাওয়ার হুমকির মুখে আছে। কারণ, তারা এখন মোটামুটি পড়াশোনার বাইরে রয়েছে। পুনরুদ্ধার করা না গেলে তাদের অবধারিত হবে ঝরে পড়া। তাই তাদের জন্য পুনরুদ্ধার কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। তবে, গবেষণায় একটি ইতিবাচক তথ্যও উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এবং মাধ্যমিকের ৯৬ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, পুনরায় স্কুল খুললে তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন। গবেষণায় পুনরায় স্কুল খোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসে গতিবিধি দেখে স্কুল খোলার দিনক্ষণ ঠিক করতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিদ্যমান পরিস্থিতি থাকলে ঘোষিত সময়ে খুলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সবার মধ্যে।