আজকের যায়যায়দিন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর যেন অন্তিম উৎসবে পরিণত না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি মানুষকে করোনায় সচেতন করতে সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীদের ক্যাম্পেইন পরিচালনাসহ সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত করোনা সুরক্ষাসামগ্রী ও খাদ্যসহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এদিন ১৩টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাঝে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী এবং খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়।

সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত সচেতনামূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ঈদ উৎসব যেন অন্তিম যাত্রায় বা উৎসবে পরিণত না হয়। এই ক্যাম্পেইনটা সবারই করা উচিত। এটা না করে দেশি-বিদেশি মিডিয়া অহেতুক সমালোচনা করছে।'

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিনের প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'অবশেষে বেগম খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট রিপোর্টে তার আসল জন্মদিনের সঠিক তথ্য প্রকাশিত হলো। একাধিক জন্মদিনের নামে জাতিকে এতদিন বেগম জিয়া অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিলেন। প্রকৃত অর্থে তার জন্মদিন করোনা টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ মে।'

১৫ দিনে ৩৬৭ মৃতু্য / এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন মানুষ অসত্যের সাথে চলতে পারে না, পারে না সত্যকে লুকিয়ে রাখতে, হাতের তালু দিয়ে যেমন আকাশ ঢাকা যায় না, তেমনি সত্যকেও কখনো আড়াল করে রাখা যায় না। তিনি আবেগপ্রবণ ভাষায় প্রশ্ন তুলে বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এক নির্মম, বেদনাদায়ক হত্যাকান্ড ১৫ আগস্ট অথচ কতটা নিষ্ঠুর হলে এই দিনে বেগম জিয়া এতদিন তার ভুয়া জন্মদিন পালন করে আসছিলেন। বিএনপি নেত্রী কি পারতেন না শোকাবহ ১৫ আগস্টে ভুয়া জন্মদিনের অনুষ্ঠান না করতে?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'একজন মানুষের এতগুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্য এখন নতুন করে বেগম জিয়াই উন্মোচন করেছেন। তার মেট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী জন্মদিন ৯ আগস্ট ১৯৪৫, বিবাহ সনদে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫, পাসপোর্ট সনদ ১৯ আগস্ট ১৯৪৫, আবার দাবি করেন ১৫ আগস্ট ১৯৪৫ তার জন্মদিন। অবশেষে করোনা টেস্টের জন্য দেওয়া তথ্যে জানা গেল বেগম জিয়ার জন্মদিন ৮ মে ১৯৪৬।'

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ডক্টর আবদুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির এবং সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন।