বিভিন্ন জেলার করোনা চিত্র

রাজশাহীতে চারজনের মৃতু্য

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০২১, ০০:০০

রাজশাহী অফিস
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনের মৃতু্য হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত চারজনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন রোগী করোনা পজিটিভ ছিলেন। অন্য তিনজনের বাড়ি রাজশাহী। তারা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।' এ নিয়ে গত ১২ দিনে (১ জুন ভোর ৬টা থেকে ১২ জুন ভোর ৬টা পর্যন্ত) রাজশাহী হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১১২ জন। এর মধ্যে ৬৪ জনই করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর; বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। পরিচালক বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন। ছুটি নিয়েছেন ৩৩ জন। ২৭১ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ২৮৯ জন। অতিরিক্ত রোগীদের বিকল্পভাবে বেড বাড়িয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে রাজশাহীর ১৪ জন, চাঁপাইয়ের ৮ জন, নাটোরের ২ জন ও পাবনার একজন রয়েছেন। ভর্তি ২৮৯ জনের মধ্যে রাজশাহীর ১২২, চাঁপাইয়ের ১২০, নাটোরের ১৪, নওগাঁর ২৪, পাবনার ৫ ও কুষ্টিয়ার একজন রয়েছেন। হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন ১৮ জন।' ২৪ ঘণ্টায় ল্যাবে শনাক্তের হার বেড়েছে রাজশাহীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়ে শামীম ইয়াজদানী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার রাতে) রাজশাহীর দুটি পিসিআর ল্যাবে ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে শনাক্ত হয়েছে ১৪৩ জনের। শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাজশাহীর দুই ল্যাবে জেলার ৩৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৩ জনের পজিটিভ আসে। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ শনাক্তের হার কিছুটা বেড়েছে। লকডাউন চলছে, রাস্তাঘাট ফাঁকা এদিকে রাজশাহীতে সাত দিনের 'সর্বাত্মক লকডাউনের' দ্বিতীয় দিন ছিল শনিবার। শুক্রবার বিকাল থেকে এই লকডাউন শুরু হয়। চলবে আগামী ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই রাজশাহী নগরীর রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল। দোকানপাটও বন্ধ ছিল। কিছু মানুষকে গাড়ি না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। নগরের ভেতরে কিছু অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, 'রাজশাহী মহানগরের সবক'টি প্রবেশমুখে পুলিশ শক্তভাবে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশি টহল রয়েছে। বিনা কারণে কাউকেই শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে জরুরি সেবা পরিবহণ ও ওষুধের দোকানপাট খোলা রয়েছে। শহরে যাতে মানুষ ঢুকতে না পারে পুলিশ সে চেষ্টা করছে। তবুও মানুষ নানা গলিপথ দিয়ে ঢুকে যাচ্ছে।