বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গাপুরের সীমান্তবর্তী আদিবাসী গ্রামে ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি

নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)
  ১৬ জুন ২০২১, ০০:০০

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দু'টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার আদিবাসী গ্রামগুলোর ঘরে ঘরে জ্বর ও সর্দি-কাশি দেখা দিয়েছে। রোগীরা উপজেলা সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভিড় করছেন। সচেতনতা না থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে কুলস্নাগড়া ও দুর্গাপুর ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী হওয়ায় ওই এলাকার সাধারণ আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ এবং নানাভাবে শ্রমের কাজ করছেন প্রতিনিয়ত। দেশের বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপট এবং সীমান্তের ওপারে ভারতে মেঘালয় রাজ্যে ব্যাপক করোনা আক্রান্তের রোগী থাকায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। মৃতু্যর ঝুঁকি নিয়েই গোপালপুর, ভবানীপুর, দাহাপাড়া, তিনআলী, লক্ষ্ণীপুর, ভরতপুর, বারমারি গ্রামের আদিবাসীরা লাকড়ি সংগ্রহ ও ক্ষেতে কাজ করার জন্য নিয়মিত বের হচ্ছেন।

দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মোড়ের পড়িন্ত ফার্মেসির মালিক বিপস্নব পন্ডিত জানান, 'অন্যান্য রোগীর চেয়ে বর্তমানে বেশিরভাগ রোগীই আসছেন সর্দি, কাশি ও জ্বরের ওষুধ নিতে। এ নিয়ে আমরাও আতঙ্কে রয়েছি।'

সীমান্তবর্তী বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ হুমাউন কবীর বলেন, 'সীমান্তে অবৈধ চলাচলের বিষয়ে আমরা শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'

দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম বলেন, 'দৈনিক শতাধিক মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসছেন জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে। এদের মধ্যে অধিকাংশ আদিবাসী নর-নারী। আমাদের মেডিকেল অফিসাররা ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা চালু রেখেছেন। আগতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এলাকায় ব্যাপকভাবে করোনা পজিটিভ দেখা না দিলেও ভারতের সীমান্তবর্তী উপজেলা হিসেবে আতঙ্কে রয়েছি আমরা।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে