শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
করোনা :বিভিন্ন জেলার চিত্র

ঝিনাইদহে বেড়েছে শনাক্তের হার, কমেছে বাগেরহাটে

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ জুন ২০২১, ০০:০০

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনভাইরাস শনাক্তের হার বেড়েছে ঝিনাইদহে অপরদিকে কমেছে বাগেরহাটে। এ সময়ে শনাক্তের হার ঝিনাইদহে ছিল ৫৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং বাগেরহাটে ৩৯ শতাংশ।

আমাদের ঝিনাইদহের প্রতিনিধি জানান, জেলায় সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৪ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুইজন মারা গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ঝিনাইদহ সদরে সাতজন, শৈলকূপায় নয়জন, কালীগঞ্জে সাত ও হরিণাকুন্ডুতে ১১ জন।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৫৪ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৮২০ জন। এছাড়া মারা গেছেন ৬১ জন।

ঝিনাইদহ সিভির সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ ল্যাব থেকে ৬০ নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের মধ্যে ৩৪ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার লিমন পারভেজ জানান, পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে। করোনার নতুন কোনো ধরনের বিস্তার ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেন এই চিকিৎসক।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুইজন মারা গেলেন।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ওষুধ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান (৩৬) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃতু্য হয়। এর আগে ১২ জুন রাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান জেলার শৈলকূপা উপজেলা শহরের জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আরিফুল ইসলাম (৩৯)।

এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ৬১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরা এ পর্যন্ত ৮২ করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ দাফন করেছেন।

জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, ঝিনাইদহসহ আশপাশের জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াই প্রশাসনের জরুরি অভিযান শুরু হয়েছে। জেলার অন্তত ১০টি পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলছে। এছাড়া বুধবার করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখান থেকে বিধিনিষেধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এদিকে মোংলাসহ বাগেরহাট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ শনাক্তের হার আগের দিনের তুলনায় কমেছে।

সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৬ জনের পরীক্ষায় ৫৩টি পজিটিভ এসেছে। সেই হিসেবে শনাক্তের হার ৩৯ শতাংশ, যা তার আগের দিনের তুলনায় ৫ শতাংশ-পয়েন্ট কম। একই সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মোংলা উপজেলায়ও শনাক্তের হার কমে ২২ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৩৩ শতাংশ-পয়েন্ট কম।

তাছাড়া একই সময়ে জেলায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন বলে তিনি জানান।

সিভিল সার্জন বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত দুই হাজার ২৬২ জনের পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬০০ জন। মারা গেছেন ৫৮ জন।

এরই মধ্যে মোংলায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের চলাফেরা বেড়েছে। জনসমাগমের উৎসস্থল হাটবাজারে মানুষের ভিড় দেখা গেছে সোমবার। নৌকায় গাদাগাদি করে যাত্রী পারাপার চলছে। উপজেলা প্রশাসনের আরোপ করা বিধিনিষেধ বুধবার শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মোংলার ইউএনও কমলেশ মজুমদার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে