বাজার-সদাই

বেড়েছে মুরগির দাম, চড়া সবজি ডিমেও

পাইজম ৫৫, পোলাও ৯৫ নাজিরশাইল ৬৬-৭০, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা উস্তা ৯০-১০০, বেগুন, বরবটি, লাউ ও গাজর ৬০-৭০, শসা ও পটল ৪০, গাজর ৭০, সয়াবিন ১ লি. ১৪০ ও খোলা প্রতি কেজি ১২০-১২৫ টাকা, গরু ৫৭০-৫৯০, খাসি ৭৮০-৮০০, ব্রয়লার ১৬০-১৭০, কক ২১০-২২০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০-৫৫, রসুন, আদা ১০০-১১০, চিনি ৬৫-৭২ মসুর ডাল ৯০-১২০ টাকা, শিং ৩২০-৩৫০, রুই ২৭০-৩৫০, পাঙাশ ২০০, শোল ৪০০-৬০০, চিংড়ি ৫০০

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কিছুতেই থামছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে কোনো না কোনো পণ্যের। ফলে বাজারে যাওয়া মানুষগুলো নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ- তাদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। শুক্রবার রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে ১শ' ছুঁয়েছে উস্তার কেজি; দাম বেড়েছে বেগুন, বরবটি, লাউসহ অধিকাংশ সবজির। ১শ' টাকার ওপরেই রয়েছে ডিমের ডজন। এদিকে পঞ্চাশের ঘরে পেঁয়াজ আটকে থাকলেও বেড়েছে আলুর দাম। তবে গত সপ্তাহের দামেই মিলছে চাল ডাল ভোজ্যতেলসহ মাছ ও গরুর মাংস। শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর-১, মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও, শ্যামলী ও কল্যাণপুর বাজারে নিত্যপণ্যের দামের এমন চিত্রই দেখা গেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর এসব বাজারে কেজিতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এদিন তা বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা দরে। পাকিস্তানি কক ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আর ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। তবে এ সপ্তাহে কিছুটা কমে দেশি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০-৫০০ টাকা দরে। অন্যদিকে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে গরু মাংশের দাম। প্রতি কেজি ৫৭০-৫৯০ টাকা দরে। এদিকে গত সপ্তাহের দামেই অর্থাৎ প্রতি ডজন ব্রয়লার ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, খাবারসহ খামার পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে ব্রয়লার মুরগির দাম এখন একটু বাড়তি। এছাড়াও বর্ষার মৌসুমে অনেক মুরগিই মরে যায়- তাই খামারিরা তুলনামূলক উৎপাদন কমিয়ে দেয়। আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঘাটতি থাকায় পুরো মাসজুড়েই বাড়তি থাকতে পারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। এদিকে যথারীতি চড়াই রয়েছে রাজধানীর সবজির বাজার। এসব বাজারে এদিন সাভার থেকে আসা উস্তার কেজি বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে এই সবজিটির দাম। তবে বৃহস্পতিবারে আসা অর্থাৎ পুরনো উস্তার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়াও বাড়তি রয়েছে বেগুন বরবটি গাজর লাউসহ কাঁচা কলার দাম। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০, বরবটি ৬০-৭০, লাউ ৬০, গাজর ৭০ ও কাঁচা কলার হালি ৪০-৫০ টাকা দরে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে শসা, পটল, ঢেঁড়সের, কাকরোল ও ঝিঙের দাম। এসব সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। এদিকে বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলে পঞ্চাশের নিচে নামছে না এই নিত্যপণ্যেটির দাম। এদিন এসব বাজারে দেশি বাছাই করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা দরে আর অবাছাইকৃত পেঁয়াজ ৫০ টাকা করে। তবে এসব বাজারে নতুন করে বেড়েছে আলুর দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি কেজিতে প্রায় ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। মিরপুর ১ নম্বর বাজারের আলু বিক্রেতারা জানান, মৌসুমের আলু শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন কেবল সংরক্ষণাগারের আলু বাজারে আসছে। আর এসব হিমায়িত রক্ষণাগারের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় আলুর দাম বেড়েছে। এদিকে প্রায় গত সপ্তাহের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে রাজধানীর চালের বাজার। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা দরে। আর মান ভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকায়। যথারীতি অপরিবর্তিত দামেই অর্থাৎ ৯৫ টাকায় খোলা পোলাও চাল ও ১২০ টাকায় প্যাকেট চাল বিক্রি হচ্ছে। কাটারি আতপ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে আর মোটা আতপ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এদিকে বাজারগুলোতে প্রতিকেজি মোটা মসুর বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায় আর চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে। এদিকে খোলা সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন হাফ লিটার বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় আর এক লিটারের তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫১ টাকা দরে। তবে অনেক বাজারে পুরানো তেলের মজুদ থাকায় তা আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে অনেকটা আগের দামেই রয়েছে মাছের বাজার। এদিন রাজধানীর বাজারগুলোতে আকার ভেদে প্রতি কেজি শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই (আকার ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। কাতল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। এদিকে বাড়তিই রয়েছে আইড় ও শোল মাছের দাম। আকার ভেদে যথাক্রমে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ ও ৬০০ টাকা কেজিতে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। আর কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। এছাড়াও বাড়তি রয়েছে বিভিন্ন ছোট মাছের দাম। মলা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৮০ টাকায়। দেশি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়। হরিণা, বাগদা ও গলদা প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। পাবদা মাছ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজিতে।