বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
বিভিন্ন জেলার করোনা চিত্র

গাইবান্ধা ও শেরপুরে আক্রান্ত বাড়ছে

গাইবান্ধা ও শেরপুর প্রতিনিধি
  ২৫ জুন ২০২১, ০০:০০

স্বাস্থ্যবিধি পালনে ঢিলেঢালা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে গাইবান্ধা ও শেরপুরে। গাইবান্ধায় জেলা সদর হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। শেরপুরে সরকারি বিধিনিষেধ পালনে নজরদারির অভাবে করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে।

আমাদের গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ৯ জন বেড়েছে। আগের দিন করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ১০ জন। অর্থাৎ শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে নতুন করে ১৯ জন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৬, গোবিন্দগঞ্জে ৬, ফুলছড়িতে ৩, সুন্দরগঞ্জে ২ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ২ জন।

তবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নানা উপসর্গে সন্দেহজনকভাবে ১৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নেওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৫৮ জন।

জেলায় সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২৪ জন। এর মধ্যে ২০ জন মারা গেছে। জেলায় করোনায় শনাক্ত ১ হাজার ৯২৪ জনের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৪ জন রোগী সুস্থ হওয়ায় তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

শেরপুর প্রতিনিধি জানান, শেরপুরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ দ্বিতীয় ধাপে প্রচুর পরিমাণে বাড়লেও বিধিনিষেধ ঢিলেঢালাভাবে পালন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিজ্ঞ মহলের। বুধবার পর্যন্ত সরকারিভাবে শেরপুর জেলায় করোনায় মৃতু্যর সংখ্যা ২০ জন হলেও বেসরকারি হিসাবে মৃতু্যর সংখ্যা দ্রম্নত বাড়ছে।

শেরপুরে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেন জানান, ১ জুন থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় পিসিআর ১১৮ জন, এন্টিজেন ৩১৬ জন এবং সদরে ৩৫২ জন সর্বমোট ৭৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত। শেরপুর জেলা হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৭ জন।

এদিকে শেরপুরে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধ থাকলেও জেলার প্রায় বাসাই এখন স্কুলে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব বাড়িতে স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করানো হচ্ছে। এ বিষয়ে শেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রেজুয়ানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে