আজকের যায়যায়দিন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহামারিতে দেশের মানুষের জীবিকার চাকা সচল রাখতে সরকার দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি যখন করোনার অভিঘাত মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন নতুন করে বেড়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, উন্নয়ন উৎপাদনে গতি হয়েছে মন্থর, এমন প্রতিকূলতার মাঝেও শেখ হাসিনার সরকার দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে মানুষের জীবনের সুরক্ষার পাশাপাশি জীবিকার চাকা সচল রাখতে। বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি উন্নয়নে কষ্ট পায় উলেস্নখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ-বিদেশে যখন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রশংসা করা হয় তখন বিএনপি কষ্ট পায়। সত্য লুকানো আর অসত্যের সঙ্গে সখ্যতা বিএনপি'র পুরনো অভ্যাস।

বিদেশি বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ বাংলাদেশে বিরাজ করছে উলেস্নখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা (বিএনপি) আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস আর জনগণের সম্পদ ধ্বংসের রাজনীতি পরিত্যাগ করুন। তাহলেই বিনিয়োগকারীরা আরও উৎসাহী ও আস্থাশীল হবে।

ন্যায্য ক্ষতিপূরণ মেলেনি বিচারে অগ্রগতি সামান্য

তার মতে, অর্থনীতির গতিপ্রবাহ ধরে রেখে প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা বজায় রাখার মতো চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা এসব দেখতে পান না। তারা ততটুটুই বলেন যতটুকু টেমস নদীর ওপার থেকে তাদের কাছে ফরমায়েশ আকারে ভেসে আসে।

রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবে তাই বলে সাদাকে সাদা বলা যাবে না এমনটি নয় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি; কিন্তু বিএনপি আওয়ামী লীগকে শত্রম্ন জ্ঞান করে। দেশের রাজনীতিতে ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং বিএনপিই নষ্ট করেছে। দলটির নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় যেন সার্কাসের ক্লাউনরা বক্তব্য রাখছে।

এর আগে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

এ সময় তিনি বলেন, নানা অনিশ্চয়তার দোলাচলে আর চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে ৪১টি স্প্যানের সবকটি সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে।

প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৬ ভাগ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ কাজের এ পর্যন্ত অগ্রগতি শতকরা ৭০ ভাগ বলে জানান মন্ত্রী।

বোর্ড সভায় ভার্চুয়াল পস্ন্যাটফর্মের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিববৃন্দ।