বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরও এক মাসের ছুটি বাড়ছে

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ জুন ২০২১, ০০:০০

আজ-কালের মধ্যে আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদ বাড়ছে। করোনা সংক্রমণ, কঠোর লকডাউন এবং আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটি মিলিয়ে আরও এক মাসের ছুটি ঘোষণা করা হবে। এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ছুটি বাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে শনিবার যায়যায়দিনকে বলেন, সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তো সম্ভাবনা দেখছি না। তিনি জানান, সরকারের নির্দেশনা ও জাতীয়

পরামর্শক কমিটির সুপারিশের আলোকেই আমরা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করব।

করোনার কারণে সারাদেশে নতুন করে কঠোর লক-ডাউনের আদেশ জারির প্রেক্ষিতে ছুটি যে বাড়বে সেটি অনুমেয় ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্রে বলা হয়েছে, পূর্ব-ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে না। দেশের ৪০টির অধিক জেলায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হচ্ছে। এ ছাড়াও কঠোর লক-ডাউন এক সপ্তাহের জন্য হলেও পরবর্তীতে আবারও বাড়তে পারে। সেটি কতদিন বাড়বে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এর পরপরই অর্থাৎ আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি রয়েছে। ফলে আগামী জুলাই মাসেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা খুবই কম। এর পরও প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের কারোই টিকা দেওয়া শুরুই হয়নি। দফায় দফায় বলা হলেও শিক্ষার্থীরা তো এখনও তালিকায়ই আসেনি। সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহসা খুলছে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে প্রায় দেড় বছর ধরে। গত শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করে উপরের শ্রেণিতে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা না নিয়েই নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে শিক্ষার্থীরা। পঞ্চম ও জেএসসি পরীক্ষার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। তারা এখন একাদশের অনলাইন ক্লাস করছেন। অটোপাস দেওয়া হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের। তাদের জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে পাস দেওয়া হয়েছে। শ্রেণি কক্ষের পাঠদান এক প্রকার বন্ধ রয়েছে প্রায় দুটি শিক্ষাবর্ষে।

করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা যে ধরনের ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তা দেশের অন্য কোনো খাতের ক্ষতির চাইতে বেশি বলে মত দিয়েছে শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিখন ঝুঁকি বেড়েছে, ঝরে পড়া, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার্থীদের জীবিকার তাগিদে শিক্ষা ছেড়ে অন্য পেশায় যুক্ত হওয়া এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাল্যবিয়ের হার বেড়েছে। করোনা কালের একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে এ চিত্র।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, 'করোনা সংক্রমণের হার ক্রমেই বাড়ছে। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে না।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে