বরিশালে গৃহকত্রীর্ আটক

অকথ্য নিযার্তনের শিকার গৃহপরিচারিকা মরিয়ম

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

বরিশাল অফিস
লামিয়া আক্তার মরিয়ম
বরিশাল নগরের মদিনা সড়কের একটি বাসা থেকে নিযার্তনের শিকার ১০ বছরের গৃহপরিচারিকা লামিয়া আক্তার মরিয়মকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত গৃহকত্রীর্ মোসা. শারমিন আক্তারকে (৩০) আটক করা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে শারমিন আক্তারের স্বামী ও অপর নিযার্তনকারী মো. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় শারমিন আক্তার ও তার স্বামী আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান, এয়ারপোটর্ থানাধীন ২৯ নম্বর ওয়াডের্র মদিনা সড়কের ‘আকাশ মঞ্জিল’ নামক বহুতল ভবনের চতুথর্ তলার ভাড়া বাসায় লামিয়া আক্তার মরিয়ম নামে ১০ বছরের এক শিশুকে আটকে নিযার্তন চালানো হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিম লামিয়া আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, গৃহকতার্ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী শারিমন আক্তার কয়েকমাস পূবের্ শিশু লামিয়া আক্তারের দাদিকে প্রলোভন দেখিয়ে বরিশালে নিয়ে আসে। পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে মদিনা সড়কের ভাড়া বাসায় লামিয়াকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিযার্তন করত। সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, লামিয়াকে মারধর করাসহ তার মাথার চুল কামিয়ে দেয়া, বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নিযার্তন করা হতো। উদ্ধারের পর লামিয়া জানান, গত ৬ মাস আগে আশরাফুল তার ছোট সন্তানের দেখভালের কথা বলে তাকে আনেন। তবে আশরাফুল ও তার স্ত্রী তাকে দিয়েই করিয়ে নিত সাংসারিক সব কাজকমর্। এসব কাজে ভুল হলেই স্বামী-স্ত্রী দুইজনই নিযার্তন চালাত তার ওপর। ধারাবাহিকভাবে নিযার্তনের শিকার লামিয়ার দুই হাতেই ক্ষত তৈরি হয়েছে। যার চিকিৎসা না করানোর ফলে এতে পচন ধরেছে। এ ছাড়া দুই চোখ এবং মাথা ফুলে বৃহৎ আকার ধারণ করেছে। তাই উদ্ধারের পরপরই পুলিশ লামিয়াকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুচিকিৎসার জন্য ভতির্ করে। উল্লেখ্য, নিযার্তনের শিকার লামিয়া আক্তার মরিয়ম (১০) গৌরনদী থানাধীন বাটাজোরের নোয়াপাড়া এলাকার মো. ইকবাল সরদারের মেয়ে।