আজ মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
শারদীয় দুগোর্ৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ছিল মহাসপ্তমী। মÐপগুলোয় নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভা এবং মহাসপ্তমী বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে দেবীকে শ্রদ্ধা জানান পুণ্যাথীর্রা। ছবিটি বগুড়ার একটি মÐপ থেকে তোলা Ñযাযাদি
পঁাচ দিনের শারদীয় দুগোর্ৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ছিল মহাসপ্তমী। পূজা মÐপগুলোয় নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভা এবং মহাসপ্তমী বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে দেবীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভক্তরা। নবপত্রিকা বা কলাবউ পূজা মহাসপ্তমীর অন্যতম আকষর্ণ। দেবীর মহাস্নানেরও আরম্ভ হয় এই দিনে। আর আজ মহাষ্টমী। আজ রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। আজ থেকেই মূলত মন্দিরে ও মÐপে ভক্ত-দশর্নাথীের্দর ঢল নামবে সবচেয়ে বেশি। গতকাল সকালে ত্রিনয়নী দেবীদুগার্র চক্ষুদান করা হয়েছে। এরপর সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে উৎসব চলবে আগামী শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসজর্ন পযর্ন্ত। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধমীর্য় উৎসব ঘিরে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে আনন্দ ও উৎসাহ-উদ্দীপনার। ঢাকা মহানগরীর ২৩৪টিসহ সারাদেশের মোট ৩১ হাজার ২৭২টি মÐপে এবার দুগার্পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হিন্দুদের পাশাপাশি অন্য ধমের্র মানুষও যোগ দেয়ায় এ উৎসব এখন হয়ে উঠেছে সাবর্জনীন। এদিকে পূজাকে ঘিরে এবারও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে সারাদেশে। প্রতিটি মÐপে পুলিশ, আনসার-ভিডিপির পাশাপাশি কোথাও নিয়োগ করা হয় র‌্যাব-বিজিবি সদস্যদের। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও আছেন সতকর্ প্রহরায়। অনেক মÐপে আচর্ওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরে কড়া তল্লাশির মধ্য দিয়ে মÐপে প্রবেশ করতে হচ্ছে দশর্নাথীের্দর। দুগোর্ৎসব উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের মÐপের সামনে বিশাল প্যান্ডেল ছাড়াও মন্দিরকে সাজানো হয়েছে নতুন রঙ, সাজ ও আলোকসজ্জায়। এখানে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষও স্থাপন করেছে। বসানো হয়েছে ক্লোজ সাকির্ট ক্যামেরা। এই মন্দিরে সকাল ও সন্ধ্যায় মহাসপ্তমীর নানা আনুষ্ঠানিকতা করা হয়। পূজার পাশাপাশি মেলাঙ্গন চত্বরে আয়োজিত হচ্ছে মেলা। একই অবস্থা গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামÐপেও। আকষর্ণীয় প্রতিমার পাশাপাশি মÐপসহ সংলগ্ন এলাকাকে বণার্ঢ্য সাজ ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হল পূজামÐপেও দুগার্পূজা শুরু হয়েছে সাড়ম্বরে। পূজাকে ঘিরে হিন্দু অধ্যুষিত পুরান ঢাকার অলিগলিতেও উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। রাজধানীর ফামের্গট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) প্রাঙ্গণে সনাতন সমাজকল্যাণ সংঘ আয়োজিত পূজা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সনাতনী ঢঙে আধুনিক অলঙ্করণে সজ্জিত প্রতিমার সঙ্গে আলোকসজ্জা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। মÐপের সাজসজ্জায় ভিক্টোরিয়ান স্টাইলে খোদাই করা কারুকাজ করা হয়েছে। আর প্রবেশদ্বার করা হয়েছে বৃন্দাবনের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রেমমন্দিরের আদলে। এ ছাড়া গুলশান-বনানী সাবর্জনীন পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বনানীর কামাল আতাতুকর্ এভিনিউ সংলগ্ন পূজামÐপ, রাজারবাগের বরোদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান কমিটির মÐপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। একই সঙ্গে মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, শঁাখারীবাজারের প্রতিদ্ব›দ্বী পূজামÐপ, পান্নিটোলা, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির, অভয়নগর দাস লেনের ভোলানন্দগিরি আশ্রম, রাধিকা বসাক লেন, নবেন্দ্র বসাক লেন, টিকাটুলীর প্রণব মঠ, ঠঁাটারীবাজার পঞ্চানন শিবমন্দির, সূত্রাপুরের ঋষিপাড়া গৌতম মন্দির, বনগ্রাম তরুণ সংসদ, উত্তর মৈশুÐী, ফরাশগঞ্জ জমিদারবাড়ি এবং বিহারীলাল জিও মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির ও মÐপে উৎসবের আমেজে দুগোর্ৎসব উদযাপিত হচ্ছে।