পুঠিয়ায় প্রদশর্নীর ধানে পোকার আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

পুঠিয়া (রাজশাহী) সংবাদদাতা
রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাজস্ব খাতের অথার্য়নের প্রদশর্নীর ধানে বিভিন্ন পোকার আক্রমনে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। মাঠ পযাের্য় উপ-সহকারী কৃষি কমর্কতার্রা কমর্রত থাকলেও তাদের সঠিক তদারকি ও অবহেলার কারণে ফসলের ক্ষতিসাধন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের ৮০ টি রোপা আমন ধানের প্রদশর্নী দেওয়া হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৫ শত ৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করছে কৃষকরা। জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নের ভাংড়া বকের এরশাদ আলীর ৫০ শতক জমিতে ২০১৭-১৮ অথর্ বছরে রাজস্ব খাতের অথার্য়নের রোপা আমন, বিধান-৭৫ জাতের ধানের প্রদশনীর্ প্রদান করে উপজেলা কৃষি অফিস। কিন্তু এই ধান আগাম ফসল হয়েছে। এলাকার কয়েক জন কৃষক জানান, ধানের শীষ আসার পর লক্ষীর গু ছাত্রাক জনিত রোগ দেখা দেয়। এরপর বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমনে কালচে হয়ে যাওয়ার পর ধান চিটা হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, লক্ষীর গু ছাত্রাক জনিত রোগ রোগ ধানের বীজ থেকে হয়। আর এইটি প্রতিকারের জন্য ধানের শীর্ষ আসার সময় এই রোগের ঔষুধ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৩ টি করে ওয়াডের্ একজন করে উপ-সহকারী কৃষি কমর্কতার্ কমর্রত আছে। সঠিক সময়ে তদারকির অভাবে এই রাজস্ব খাতের অথার্য়নের রোপা আমন, বিধান-৭৫ জাতের ধানের প্রদশনীর্ ধান নষ্ট হয়েগেছে বলে জানান কৃষকরা। ধান চাষী এরশাদ আলী জানান, আমাকে ধানের প্রদশর্নী করার জন্য অফিস থেকে ৮ কেজি বীজ ও ১টি বস্তায় কয়েক রকমের সার দিয়েছে। তার পরিমাণ বলতে পারবোনা। কারণ আমাদের দেখাইনি। আর ১৬ শত টাকা দিয়েছে ধান পরিচযার্র জন্য। বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নের ভাংড়া বকের উপ-সহকারী কৃষি কমর্কতার্ মোক্তাদির হোসেন জানান, এসব বিষয় অফিসের স্যার জানেন। কোন তথ্য আমরা দিতে পারব না। এইটা স্যারের নিষেধ আছে। তাই স্যারের সাথে কথা বলেন। উপজেলা কৃষি কমর্কতার্ মনছুর রহমান মোবাইল ফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।