আলোচনায় বসার আহŸান নজরুল ইসলাম খানের

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান Ñযাযাদি
সরকারকে আলোচনায় বসার আবেদন, অনুরোধ ও দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করা হোক। সেখানে যুক্তিগ্রাহ্য সমাধান করে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক নিবার্চনের আয়োজন করা হোক। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফসার আহম্মদ সিদ্দিকীর ১৭তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নজরুল বলেন, আমাদের সংবিধান বলে, নিবার্চন পরিচালনা করবে নিবার্চন কমিশন। নিবার্চনকালীন সরকার কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। কিন্তু আমরা দেখি, যদি দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকে তাহলে সে সরকার কমিশনকে সহায়তা করে না বরং প্রভাবিত করে। আমরা প্রভাবিত করার সরকার চাই না, নিবার্চনকালে একটি সহায়তাকারী সরকার চাই। বতর্মান সরকারের আন্দোলনের ফসল এক/এগারোর সরকারের সময় যে চাজির্শট (গ্রেনেড হামলা মামলার) দেয়া হয়েছিল তাতে তারেক রহমানের নাম ছিল না দাবি করে নজরুল বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় এসে এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কমর্কতাের্ক তদন্ত কমর্কতার্ করা হয়, যিনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। তিনি ওই মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানকে রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নিযার্তন করে তাকে দিয়ে তারেক রহমানের নাম বলিয়েছেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আর কোনো সাক্ষী না পেলেও তাকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেয়া হয়েছে। আগামী ২৯ তারিখ আর একটা রায় হবে, সে রায়ে কী হবে অনুমান করা যাচ্ছে। সেখানেও সরকারের যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তারই প্রতিফল ঘটবে। অথর্মন্ত্রীর অনেক কথা হাস্যকর উল্লেখ করে তার উদ্দেশে নজরুল বলেন, সাংবাদিকরাও অথর্মন্ত্রীর কথা শুনে হাসে। আপনি বললেন, কামাল হোসেন জিরো। বিচারপতি সাত্তারের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট প্রাথীর্ দেয়ার জন্য আপনার দল আর যোগ্য লোক খুঁজে না পেয়ে তাকেই প্রাথীর্ করেছিল। আর আজ তিনি জিরো। স্বাধীনতার পর প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী যিনি আপনাদের সরকারের মন্ত্রী ছিলেন চার খলিফার একজন তিনিও জিরো। আর যে বিএনপি বারবার নিবার্চনের মাধ্যমে আপনাদের পরাজিত করেছে সেই বিএনপিও জিরো। আর আপনি সরকারি চাকরি করে এরশাদের মন্ত্রী হলেন, উপদেষ্টা হলেন পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে প্লাস হয়ে গেলেন? খালেদা জিয়ার, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুনীির্ত মামলার রায়ের বিষয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কী পরিমাণ হলে একজন অসুস্থ রোগীকে আত্মপক্ষ সমথর্ন করার সুযোগ না দিয়ে সাজা দেয়ার চেষ্টা করা হয়? সাধারণ মানুষ এসব দেখছে। সাধারণ মানুষ সব সময় প্রতিবাদ করে না। কিন্তু যখন করে তখন তাদের প্রতিবাদের সামনে আর কিছু বাধা হয়ে দঁাড়াতে পারে না। আফসার আহমদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নিবার্হী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, রফিক সিকদার প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহানারা সিদ্দিকী।