চুয়াডাঙ্গা

বৃষ্টির অভাবে পাট পচানো নিয়ে দুশ্চিন্তা

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০২১, ০০:০০

হাসমত আলী
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বৃষ্টির অভাবে নদীনালা, খালবিল, পুকুরসহ জলাশয়গুলো পানিশূন্য থাকায় কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। অনেক কৃষক পাট কেটে জমিতেই ফেলে রেখেছেন। এখন পাট কাটার ভরা মৌসুম হলেও কৃষকরা পানির অভাবে তা কাটতে দেরি করছেন। এ অবস্থায় কৃষকরা মহাবিপাকে পড়েছেন। জানা যায়, এ বছর দামুড়হুদা উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৯৪৫ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ১০ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে। দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের রেজাউল করিম মিন্টু মাস্টার বলেন, 'চলতি বছর আমার পাঁচ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছি।' উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামের আমির হোসেন বলেন, 'এ সময় আমন ধান রোপণ ও পাট জাগ দেওয়ার জন্য বৃষ্টির পানির খুবই প্রয়োজন। এ বছর ভরা বর্ষাকালেও তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি।' দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার খাবলিপাড়ার কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, 'চলতি বছর প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদনের জন্য ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়। সেই হিসাবে বাজারদর কম। দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।' দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজামান বলেন, 'দামুড়হুদা উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এখন পাট কাটার উপযুক্ত সময়। ইতোমধ্যেই অনেক চাষি পাট কাটা শুরু করেছেন। কৃষকরা অপেক্ষায় আছেন, বৃষ্টি হলে তারা পুরোদমে পাট কাটা শুরু করবেন। তবে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না হলে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পচালে অল্প খরচে তা সম্ভব। এ পদ্ধতিতে পাটের মানও ভালো হয়।'