দেশে টানা তৃতীয় দিনের মতো এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছর এটাই একদিনে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত রোগী। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন শনিবার ১০৪ এবং রোববার ১০৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে খোদ রাজধানীতে ১২০ এবং ঢাকার বাইরে তিনজনসহ ২৪ ঘণ্টায় ১২৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ২৬ জন এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৯৪ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬৮ জনে। তাদের মধ্যে ৪৬০ জনই ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অবশিষ্ট আটজন ঢাকার বাইরে হাসপাতালে রয়েছেন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) সহকারী পরিচালক ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া যায়যায়দিনকে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে মোট এক হাজার ৮০২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। যা মোট আক্রান্তের ৭৭ শতাংশের বেশি। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৩৩১ জন। এ ছাড়া চলতি বছর জানুয়ারিতে ৩২ জন, ফেব্রম্নয়ারিতে ৯ জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে তিনজন, মে'তে ৪৩ জন, জুনে ২৭২ জন এবং ২৬ জুলাই পর্যন্ত এক হাজার ৮০২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। আর ডেঙ্গু সন্দেহে মারা যাওয়া তিনজনের তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালে দুই মাসে ভর্তি ৬৫ ডেঙ্গু রোগী
সোমবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালটিতে ৩৮ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ থেকে শিশুরাও রক্ষা পাচ্ছে না। শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন শিশু ভর্তি হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, গত এক বছরে যেখানে মাত্র ৬৫ জন শিশু এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, সেখানে গত দুই মাসেই ৬৫ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থা হওয়ায় চারজনকে আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই শিশু মারা গেছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, 'গত দুই মাস ধরে ব্যাপকভাবে শিশুরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। স্বাস্থ্যবান ও বেশি ওজনের শিশুদের বেশি গুরুতর অবস্থা তৈরি হচ্ছে। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে এটি রোধ করা সম্ভব না হলে ঘরে ঘরে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।'
গত দুই মাসে আমাদের এখানে ৬৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে ৩৮ জনের চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে দুই শিশু মারা গেছে। ফলে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২০ শয্যার আলাদা একটি ওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে।'
এদিকে সরকার-সংশ্লিষ্টদের দাবি, এডিসসহ অন্যান্য মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে এলাকা বা বাসা-বাড়িতে রোগী পাওয়া যাবে, স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে হাসপাতাল থেকে সেই ব্যক্তির নাম-ঠিকানা নিয়ে ওই অঞ্চল চিহ্নিত করে বিশেষ চিরুনি অভিযান চালানো হবে। এ জন্য ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তথ্য সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে গঠিত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় সেল এবং দুই সিটি করপোরেশনে পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় সেল, সিটি করপোরেশন মশক-নিধনে কী পরিকল্পনা তৈরি করবে এবং সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, কোন এলাকায় ফগিং মেশিন দিয়ে স্প্রে করবে, কোন এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাবে, কোথায় লার্ভিসাইড বা এডাল্টিসাইড স্প্রে করবে, এর একটি কর্মসূচি তৈরি করবে এবং প্রতিদিন পর্যালোচনা ও তদারকি করে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করবে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় আলাদা হাসপাতাল নির্ধারণ করা হবে। এ জন্য ঢাকার স্যার সলিমুলস্নাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, মি জাহিদ হাসান
দেশে টানা তৃতীয় দিনের মতো এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছর এটাই একদিনে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত রোগী। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন শনিবার ১০৪ এবং রোববার ১০৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে খোদ রাজধানীতে ১২০ এবং ঢাকার বাইরে তিনজনসহ ২৪ ঘণ্টায় ১২৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ২৬ জন এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৯৪ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬৮ জনে। তাদের মধ্যে ৪৬০ জনই ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অবশিষ্ট আটজন ঢাকার বাইরে হাসপাতালে রয়েছেন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) সহকারী পরিচালক ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া যায়যায়দিনকে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে মোট এক হাজার ৮০২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। যা মোট আক্রান্তের ৭৭ শতাংশের বেশি। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৩৩১ জন। এ ছাড়া চলতি বছর জানুয়ারিতে ৩২ জন, ফেব্রম্নয়ারিতে ৯ জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে তিনজন, মে'তে ৪৩ জন, জুনে ২৭২ জন এবং ২৬ জুলাই পর্যন্ত এক হাজার ৮০২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। আর ডেঙ্গু সন্দেহে মারা যাওয়া তিনজনের তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালে দুই মাসে ভর্তি ৬৫ ডেঙ্গু রোগী
সোমবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালটিতে ৩৮ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ থেকে শিশুরাও রক্ষা পাচ্ছে না। শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন শিশু ভর্তি হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, গত এক বছরে যেখানে মাত্র ৬৫ জন শিশু এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, সেখানে গত দুই মাসেই ৬৫ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থা হওয়ায় চারজনকে আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই শিশু মারা গেছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, 'গত দুই মাস ধরে ব্যাপকভাবে শিশুরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। স্বাস্থ্যবান ও বেশি ওজনের শিশুদের বেশি গুরুতর অবস্থা তৈরি হচ্ছে। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে এটি রোধ করা সম্ভব না হলে ঘরে ঘরে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।'
গত দুই মাসে আমাদের এখানে ৬৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে ৩৮ জনের চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে দুই শিশু মারা গেছে। ফলে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২০ শয্যার আলাদা একটি ওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে।'
এদিকে সরকার-সংশ্লিষ্টদের দাবি, এডিসসহ অন্যান্য মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে এলাকা বা বাসা-বাড়িতে রোগী পাওয়া যাবে, স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে হাসপাতাল থেকে সেই ব্যক্তির নাম-ঠিকানা নিয়ে ওই অঞ্চল চিহ্নিত করে বিশেষ চিরুনি অভিযান চালানো হবে। এ জন্য ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তথ্য সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে গঠিত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় সেল এবং দুই সিটি করপোরেশনে পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় সেল, সিটি করপোরেশন মশক-নিধনে কী পরিকল্পনা তৈরি করবে এবং সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, কোন এলাকায় ফগিং মেশিন দিয়ে স্প্রে করবে, কোন এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাবে, কোথায় লার্ভিসাইড বা এডাল্টিসাইড স্প্রে করবে, এর একটি কর্মসূচি তৈরি করবে এবং প্রতিদিন পর্যালোচনা ও তদারকি করে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করবে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় আলাদা হাসপাতাল নির্ধারণ করা হবে। এ জন্য ঢাকার স্যার সলিমুলস্নাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, টঙ্গীর শহীদ আহসান উলস্নাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ আরও কয়েকটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা হবে।
বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ওই বছর প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু বিস্তৃত হয় ৬৪ জেলায়। সে সময় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়ায় এবং এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪৮ জনের মৃতু্যর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। যদিও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কাছ থেকে আড়াইশ'র বেশি মানুষের এই রোগে মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। তবে ২০২০ সালে মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ কিছুটা কম ছিল। মোট এক হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃতু্য ডেঙ্গু সন্দেহে নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হলে সাতজনের মৃতু্য এই রোগে হয়েছে বলে নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, টঙ্গীর শহীদ আহসান উলস্নাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ আরও কয়েকটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা হবে।
বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ওই বছর প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু বিস্তৃত হয় ৬৪ জেলায়। সে সময় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়ায় এবং এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪৮ জনের মৃতু্যর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। যদিও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কাছ থেকে আড়াইশ'র বেশি মানুষের এই রোগে মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। তবে ২০২০ সালে মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ কিছুটা কম ছিল। মোট এক হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃতু্য ডেঙ্গু সন্দেহে নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হলে সাতজনের মৃতু্য এই রোগে হয়েছে বলে নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।