কমেছে সবজি-ডিম ও মুরগি আগের দামেই চাল-ডাল

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঈদের আমেজ কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। ক্রমেই বাড়ছে ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যাও। এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে টমেটো, কাঁচা মরিচ ও গাজর ছাড়া কমছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। এছাড়া কমতির দিকে রয়েছে ডিম, মাছ, মুরগি ও মাংসের দাম। তবে ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব ভোগ্যপণ্যের দাম আবার বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী ও আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন খুচরা ও কাঁচাবাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এমন চিত্রই দেখা যায়। ঈদের পর এসব বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা কম থাকলেও সপ্তাহ ব্যবধানে তা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। বিক্রেতারা বলছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বাজার আবার জমজমাট হয়ে উঠবে। তবে ক্রেতা বাড়লে পণ্যের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি বাড়তে পারে পণ্যের দামও। এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কমলেও আগের চড়া দামেই স্থিতিশীল রয়েছে টমেটো, গাজর ও কাঁচা মরিচের দাম। এখনো এগুলোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার উপরে। তবে দাম কমছে করোলা, বেগুন, বরবটি, চিচিংগা, ঢ্যাঁড়স, শসা, চালকুমড়া, ঝিঙ্গা ও লাউসহ অধিকাংশ সবজির। এসব সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। এদিকে ঈদের আমেজ কাটিয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে মাছের বাজারে। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিক্রেতা ও মাছের সরবরাহও। তবে ঈদের পর লকডাউন ও পণ্যে পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় এখনো দেশি মাছের দাম বাড়তিই রয়েছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে বেশ কিছু মাছের দাম। এছাড়া দাম কমেছে ছোট আকারের ইলিশের। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশে প্রায় ২০০-৩০০ টাকা দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা দরে। তবে আগের দামেই রয়েছে বড় আকারের ইলিশের দাম। অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে অনেকটাই কমে এসেছে চিংড়ি মাছের দাম। ঈদের পর ৯০০-১০০০ টাকায় বড় চিংড়ি বিক্রি হলে শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। এদিকে শিং, মাগুর, বোয়াল ও শোলসহ বাড়তি রয়েছে আইড় এবং কোরালের মতো দেশি ও সামুদ্রিক মাছের দাম। আকার ভেদে এসব বাজারে শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়, রুই বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায়, আইড় ও শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৭০০ টাকায় এবং কোরালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬৫০-৭৫০ টাকা দরে। অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি বড় চিংড়ি কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৭০০ টাকা দরে। হরিণা, বাগদা ও গলদা আকারভেদে প্রতি কেজিতে গড়ে ২০০-২৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে। এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কমতির দিকে রয়েছে ব্রয়লার মুরগিসহ ডিমের দাম। এদিন ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ১১০-১১৫ টাকা দরে। পাকিস্তানি ককে ১০-১৫ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। আর প্রতি কেজি লেয়ারে প্রায় ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমার পাশাপাশি কমেছে ডিমের দাম ও প্রতি ডজনে প্রায় ৮-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। তবে এখনো বন্ধ রয়েছে গরুর ও খাসির মাংসের বিভিন্ন দোকান। অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে অনেকটা আগের দামেই রয়েছে চাল, পেঁয়াজ, আদা রসুনসহ ভোজ্যতেলের দাম। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা দরে। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। প্রতি কেজি আমদানিকৃত আদা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে, আর রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। এদিকে প্রায় গত সপ্তাহের দামেই রয়েছে রাজধানীর চালের বাজার। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মিনিকেট ৬২-৬৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ খেকে ৫৫ টাকা দরে। আর মান ভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকায়। পোলাওয়ের চালের প্রতি কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা এবং খোলা ৯৫-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাটারি আতপ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে আর মোটা আতপ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।