চাঁদপুর সদর হাসপাতাল

করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২১, ০০:০০

চাঁদপুর প্রতিনিধি
অস্বাভাবিক হারে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট এখন চরমে। চাহিদার অর্ধেক অক্সিজেনও সরবরাহ পাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় রোগী ও তাদের স্বজনদের পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরাও অসহায় হয়ে পড়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগীর স্বজনরা জানায়, মূলত অক্সিজেন কমে যাওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তারা রোগী নিয়ে সদর হাসপাতালে আসেন। সিট কিংবা ফ্লোরে জায়গা পেলেও অক্সিজেন পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভর্তির ৪/৫ ঘণ্টা পরও অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না। রোগীর স্বজনরা জানায়, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে দেখা মিলছে না অক্সিজেন সিলিন্ডারেরও। হাসপাতালের স্টাফরা এক বা একাধিক অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে করোনা ওয়ার্ডে প্রবেশ করলে রোগীর স্বজনরা সেসব সিলিন্ডার নিয়ে কাড়াকাড়ি বা টানাহেঁচড়া শুরু করেন। এ নিয়ে স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, হতাশা, ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অক্সিজেন সাপোর্ট না পেয়ে গত কয়েক দিনে বেশ ক'জন রোগী মারা গেছেন বলেও ভুক্তভোগী স্বজনরা জানান। তীব্র অক্সিজেন সংকটের কথা স্বীকার করে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, মাত্রাতিরিক্ত রোগী বেড়ে যাওয়ায় এবং ভর্তিকৃত প্রায় সবার অক্সিজেন প্রয়োজন হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। গত ৩/৪ দিন ধরে এমন জটিল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। চাহিদার অর্ধেক অক্সিজেনও সরবরাহ পাচ্ছি না আমরা। তাই সব রোগীকে অক্সিজেন সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, চাঁদপুর সদর হাসপাতালে মাত্র ৩০ বেডে হাই ফ্লো অক্সিজেন সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি বেডের অক্সিজেন সার্ভিস বিকল। অক্সিজেন কনসেনটেটর মেশিন আছে ২৪টি। অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে ১৮০টি কিন্তু মিটার আছে মাত্র ৬০টি। অথচ গত দুই দিনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৬০ জনের বেশি। ডা. রুবেল আশা প্রকাশ করে বলেন, চাঁদপুর সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বসানো লিকুইড অক্সিজেন পস্ন্যান্ট চালু হলেই কেবল অক্সিজেন সমস্যার সমাধান সম্ভব। এটি চালু হলে ২০০ রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।