শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জবির ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে পরীক্ষা দিতে চায়

জবি প্রতিনিধি
  ৩১ জুলাই ২০২১, ০০:০০

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে চায়।

শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। সমিতির অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রম্নপে এই অনলাইন জরিপে মোট ৩১৭১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে অনলাইনে পরীক্ষা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ২৪০৯ জন শিক্ষার্থী। যা জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৭৫.৯৭ শতাংশ (প্রায় ৭৬ শতাংশ)।

সশরীরে পরীক্ষার পক্ষে মত দেন ৬০৪ জন শিক্ষার্থী। যা জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ১৯.০৪ শতাংশ। এছাড়াও পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত না বলে মত দিয়েছেন ১৫৮ শিক্ষার্থী। যা মোট জরিপের ৫ শতাংশ। তবে ৩ বিষয়েই শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ উঠে এসেছে। অনলাইনে এক্সাম দিতে চেয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহনা মেহজাবিন বলেন, অনলাইনে এক্সাম চাই। সিজিপিএ কম আসুক। সমস্যা নেই আমার।

অপরদিকে এখনই সশরীরে পরীক্ষা দিতে চেয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান আহমেদ রাফি বলেন, করোনার জন্য দীর্ঘ দেড় বছর ধরে একই সেমিস্টারে আটকে আছি। অনেক ডিপার্টমেন্টে অনলাইনে মিড এক্সাম নিচ্ছে। অনেক ডিপার্টমেন্টে নেওয়া শেষ। এমতাবস্থায় অবশ্যই সশরীরে পরীক্ষা নিতে হবে এবং তা যত দ্রম্নত সম্ভব হবে ততই মঙ্গল।

এখনই পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত নয় জানিয়ে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী নভেরা হাসান নিক্বণ বলেন, আমাদের গত ৬-৮টি সেমিস্টারের কোর্সগুলো সবই অনলাইনে শেষ হয়েছে। মানে প্র্যাকটিকাল কোর্স তত্ত্বীয়ভাবে শেষ হয়েছে। এই জ্ঞান দিয়ে আমাদের বা আমার পক্ষে মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সম্ভব না। এবং পরবর্তীতে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে গেলে, আমরা কিছুতেই তাল মিলাতে পারব না। তাই উপযুক্ত পরিমাণ স্টুডিওবেইজড ক্লাস না করে, আমি পরীক্ষায় বসা অনর্থক বলে মনে করি।

এ বিষয়ে অনলাইন পরীক্ষা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আইন অনুষদের ডিন ড. সরকার আলী আককাস বলেন, আমরা বিকল্প হিসেবেই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছি। কারণ এভাবে বসে থাকলে শিক্ষার্থীদের আরও সময় নষ্ট হবে এবং সার্বিকভাবে সেশনজট আরও বাড়বে।

অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল নিতে প্রস্তুতি কমিটি গঠন

এদিকে সেশনজট কমাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্থগিত হয়ে যাওয়া সব বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা অনুসন্ধান এবং কীভাবে অনলাইন পস্ন্যাটফর্মের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া যায় তার সুপারিশ তৈরির জন্য ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড আইটি দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জল কুমার আচার্য্যকে সদস্য সচিব করে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুলস্নাহ আল বাকী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরা জাহান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিনকে সদস্য করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে