চাঁদপুরে প্রাইভেট হাসপাতালে নেই করোনা চিকিৎসা

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

আল ইমরান শোভন
উন্নত ও ভালো চিকিৎসার জন্য এতদিন চাঁদপুরের বেসরকারি (প্রাইভেট) হাসপাতালের প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকলেও করোনাকালে এসব হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। চাঁদপুর শহরের ১৫টিসহ জেলার ২৯টি বেসরকারি হাসপাতালের একটিতেও করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হয় না। এমনকি করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আগ্রহ দেখিয়ে একটি হাসপাতালও সিভিল সার্জন অফিসে লিখিত কিংবা মৌখিক আবেদন করেনি। অথচ পার্শ্ববর্তী জেলা কুমিলস্নার আটটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা করা হচ্ছে। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজনরা বলেন, 'চাঁদপুরের কোনো প্রাইভেট হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি করাচ্ছে না। করোনার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সাপোর্ট পর্যন্ত অনেক প্রাইভেট হাসপাতালে নেই। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে রোগী নিয়ে সদর হাসপাতালে চলে এসেছি। চাঁদপুর শহরের ষোলঘরস্থ হানী ছিদ্দিক মেমোরিয়াল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'আমাদের হাসপাতালে আইসিইউসহ অনেক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে লোকবলের অভাবে আমাদের আইসিইউ বন্ধ রয়েছে। অক্সিজেন সাপোর্টও পর্যাপ্ত নয়। তবে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ চাইলে এবং লোকবলসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করলে আমাদের হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে পারি।' চাঁদপুর বেলভিউ (প্রা.) হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ সাগর বলেন, 'প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সাপোর্ট না থাকায় এবং অন্য রোগী ও চিকিৎসকদের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে আমরা আমাদের হাসপাতালে এখনো করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরু করছি না।' চাঁদপুর সেন্ট্রাল (প্রা.) হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রাইভেট হাসপাতাল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এসএম শহিদ উলস্নাহ বলেন, করোনার চিকিৎসা এখনো শুরু করিনি আমরা। আপাতত কোনো পরিকল্পনাও নেই। কারণ, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আইসিইউ, হাইফ্লো অক্সিজেন, করোনার জন্য প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্স আমাদের নেই। চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উলস্নাহ বলেন, চাঁদপুর জেলায় ২৯টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এর মধ্যে জেলা শহরে ১৫টি। এখন পর্যন্ত কোনো হাসপাতাল করোনার চিকিৎসা করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেনি বা আবেদন করেনি। এখানকার হাসপাতালগুলোর একটিতেও হাইফ্লো অক্সিজেন সেবা নেই। তবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও অক্সিজেন দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে তাদের। তারা কেউ আবেদন করলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমরা চিকিৎসার অনুমতি দেব। তখন সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে।