খারাপ অবস্থায় আছি :আতিক

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় 'চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে' মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, 'মহামারির মধ্যেই আমরা ডেঙ্গুর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি। এই চ্যালেঞ্জে আমরা খুব খারাপ একটা অবস্থায় আছি।' ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রোববার উত্তরা এলাকায় প্রচার চালাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আইইডিসিআর ও সিডিসির তথ্যের বরাত দিয়ে উত্তরের মেয়র বলেন, 'আগস্টে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়বে। এজন্য আমরা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে এডিস মশার উৎস নির্মূলে এই অভিযান শুরু করেছি। নির্মাণাধীন বাসা-বাড়ি এবং বহুতল ভবনে এডিসের লার্ভা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণে এসব দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানি ও নির্মাণাধীন ভবনের মালিকদের সতর্ক করে দিয়ে মেয়র বলেন, 'যারা কনস্ট্রাকশন করছেন, এটা ডেভেলপার হোক আর ব্যক্তিপর্যায়ে হোক, আপনারা মেহেরবানি করে, বিনয়ের সঙ্গে বলছি, রিহ্যাবের সদস্যরা মিটিং করুন, সদস্যদের সঙ্গে বসুন, তাদের বলুন, সবচেয়ে বেশি লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে কনস্ট্রাকশন সাইটে। আমাদেরকে বাধ্য করবেন না সাইটে গিয়ে জেল-জরিমানা করতে।' ঢাকা উত্তরের ওয়ার্ড কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা এ সময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন। আড়াই লাখ টাকা জরিমানা এদিকে এডিস মশার বিস্তার রোধে রোববার (১ আগস্ট) নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ২২ মামলায় দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। ডিএনসিসির ১ নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪ মামলায় ৪৭ হাজার ২০০ টাকা, ২ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম সফিউল আজম পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪ মামলায় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ৩ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুলস্নাহ আল বাকী পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪ মামলায় ৫০ হাজার টাকা। ৪ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ মামলায় ৪ হাজার টাকা, ৫ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যতন মার্মা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ মামলায় ১০ হাজার ২০০ টাকা, ৬ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা। ৯ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ মামলায় ২০ হাজার টাকা এবং ১০ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ শহিদুল ইসলাম পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩ মামলায় ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এভাবে মোট ২২টি মামলায় আদায়কৃত জরিমানার সর্বমোট পরিমাণ ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯০০ টাকা।