ফুটবলের ফাইনালে স্পেনকে পেল ব্রাজিল

অলিম্পিক ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল আবারও জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে। মুকুট ধরে রাখার অভিযানের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে ২০১৬ সালের রিও ডি জেনেরিও'র স্বর্ণ জয়ীরা। টাইব্রেকারে মেক্সিকোকে হারিয়ে টোকিও অলিম্পিকে তারা উঠেছে ফাইনালে। কাশিমা সকার স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম সেমিফাইনালে পেনাল্টি শুট-আউটে ৪-১ গোলে জিতল ব্রাজিল। অলিম্পিক ফুটবলের অপর সেমিফাইনালে জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে স্পেন। ১১৫ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন মার্কো আসেনসিও। শনিবার সোনা জয়ের লড়াইয়ে স্পেনের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। প্রথম সেমিফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের লড়াই গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। ফলে ১৫ মিনিট করে মোট ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ে খেলা হয়। এই দুই অর্ধে গোল না আসায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ব্রাজিলের প্রথম চার শটের সবকটিই হয়েছে গোল। কিন্তু মেক্সিকোর নেওয়া প্রথম দুই শটই হয় ব্যর্থ। এদুয়ার্দোর দুর্বল শট ব্রাজিল গোলরক্ষক সান্তোস ফেরানোর পর ইয়োহান ভাসকেস মারেন পোস্টে। মেক্সিকোর তৃতীয় শট নেওয়া কার্লোস রদ্রিগেজ জালের দেখা পেলেও ব্রাজিলে চার নম্বর শট নেওয়া হেইনিয়া জালে বল পাঠালে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয় দানি আলভেসের নেতৃত্বাধীন দলটির। বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায় শুরু হয় ম্যাচটি। ম্যাচের শুরু থেকে চাপ সৃষ্টি করা ব্রাজিল দশম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত। তবে গিলেরমো আরানার ছয় গজ বক্সের বাঁ থেকে নেওয়া শট রুখে দেন ৩৬ বছর বয়সি অভিজ্ঞ গোলরক্ষক গিলেরমো ওচোয়া। ২৮তম মিনিটে মেক্সিকোর ডি-বক্সে তাদের এক ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জে দগলাস লুইস পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পরে অবশ্য ভিএআরের সাহায্যে পাল্টান সিদ্ধান্ত। ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা মেক্সিকো বিরতির ঠিক আগে সুবর্ণ সুযোগ পায়। কিন্তু ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি উরিয়েল আন্তুনা। তার শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ছুটে আসা ডিফেন্ডার দিয়েগো কার্লোসে প্রতিহত হয়। ৭৫তম মিনিটে একটি ফাউলের ঘটনায় দুই পক্ষ অহেতুক ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়ে। রেফারি এসে পরিবেশ শান্ত করেন। গ্রম্নপ পর্বে পাঁচ গোল করা রিশার্লিসন ৮২তম মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার দারুণ সুযোগ পান, কিন্তু দুর্ভাগ্য বাধ সাধে। দানি আলভেসের ক্রসে ঝাঁপিয়ে এভারটন ফরোয়ার্ডের হেড পোস্টের ভেতরের দিকে লেগেও ভেতরে যায়নি। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ফাইনালে এই মেক্সিকোর কাছে হেরেই প্রথম সোনার পদকের স্বপ্ন ভেঙেছিল ব্রাজিলের। পরের আসরেই ঘরের মাঠে অধরা সেই স্বাদ পায় তারা। এবার লক্ষ্য শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার। 'ডি' গ্রম্নপে জার্মানি ও সৌদি আরবকে হারিয়ে আর আইভোরি কোস্টের বিপক্ষে ড্র করে ব্রাজিল। কোয়ার্টারে মিশরকে ১-০ গোলে হারিয়ে করে শেষ চার নিশ্চিত করেছিল সেলেকাওরা। অন্যদিকে 'এ' গ্রম্নপে ফ্রান্স ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় তুলে নেয় মেক্সিকো। জাপানের বিপক্ষে হারলেও কোয়ার্টারে জায়গা করে নিতে সমস্যা হয়নি তাদের। শেষ চার নিশ্চিতের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৬-৩ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছিল মেক্সিকানরা।