বতর্মানকে উৎসগর্ করেছি আগামীর জন্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বক্তৃতা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার বতর্মানকে তিনি উৎসগর্ করেছেন তরুণ প্রজন্মের জন্য, যাদের হাতে তৈরি হবে এদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ। মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবতির্ত রেখে অপারেটর বদলের সুবিধা ‘মোবাইল নম্বর পোটেির্বলিটি’ (এমএনপি) সেবার উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বতর্মানকে আমি উৎসগর্ করেছি তরুণ প্রজন্মের জন্য। তারাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়বে... আমরা তো চলেই যাচ্ছি। কিন্তু বতর্মানে যতটুকু কাজ আমরা এগোতে পারি, সেটা আমরা উৎসগর্ করেছি তরুণ প্রজন্মের জন্য।’ যারা এদেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে, তাদের চলার গতি যেন কোথাও থেমে না যায়, তা নিশ্চিত করার প্রত্যাশার কথা বলেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েদের এটাই বলব, মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া শিখতে হবে। আর প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও অভ্যস্ত হতে হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্র প্রতিনিয়ত পরিবতর্ন হচ্ছে। যতদিন যায় প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তি বের হয়।’ আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন পরিবতর্নশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নেবে বলে প্রতিশ্রæতি দেন শেখ হাসিনা। এমএনপি সেবার পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক কাযর্ক্রম গত ১ অক্টোবর শুরু হলেও গণভবনের এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার আরেকটি পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। একটা সিম থেকে যেকোনো অপারেটরে আরেকটা সিমে নাম্বার পরিবতর্ন করা বা একটা অপারেটর থেকে আরেকটা অপারেটরে যাওয়ার যে আধুনিক প্রযুক্তি, পৃথিবীর খুব সীমিত দেশ এটা ব্যবহার করে। আমরা সেই যুগে প্রবেশ করছি। ‘যদিও এটি একটা জটিল বিষয়, সেটাকে আজকে সহজভাবে করে দেয়া হয়েছে। এই এমএনপি সেবা অনেকের জন্য সুবিধা হবে।’ নম্বর পরিবতের্নর ঝক্কিতে যেতে চান না বলে সেবায় সন্তুষ্ট না হওয়ার পরও অনেকে এতদিন অপারেটর বদলাতে পারেননি। ৬ এমএনপি চালু হওয়ায় তারা পুরানো নম্বর রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এ সেবা নিতে গ্রাহককে ৫০ টাকা চাজের্র সঙ্গে সিম রিপ্লেসমেন্ট ট্যাক্স এবং ভ্যাটসহ মোট ১৫৮ টাকা খরচ দিতে হচ্ছে। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ব্রড ব্র্যান্ড সাভির্সটা একেবারে গ্রাম পযর্ন্ত, জেলা-উপজেলা পযর্ন্ত পৌঁছে গেছে। প্রতিটা গ্রামকে আমরা শহরে উন্নীত করছি।’ ই-ফাইলিং সুবিধা চালু হওয়ায় এখন যেকোনো জায়গায় বসে কাজ সারার সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং তাতে আর কমর্ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে না বলে জানান তিনি। গত দশ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল দুনিয়ায় কতখানি এগিয়েছে, সে কথাও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।