প্রশিক্ষণ কমর্শালায় সিইসি ভোট করতে দল ও ইসির দূরত্ব কমাতে হবে

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ভোট করতে রাজনৈতিক দল ও নিবার্চন কমিশনের (ইসি) মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে ফেলতে হবে। তিনি এও বলেছেন, রাজনৈতিক দলের কথায় নয় বরং ভোটারের স্বাথর্রক্ষা করে কাজ করতে হবে। রোববার রাজধানী ঢাকার আগারগঁাওয়ে নিবার্চনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) নিবার্চনী কমর্কতাের্দর জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণ কমর্শালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হুদা বলেন, ‘নিবার্চনে বুথ বসানো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধ থাকে। এর কিছু কিছু যৌক্তিক। তবে আমাদের রাজনৈতিক দলের কথায় নয় বরং ভোটারের স্বাথর্রক্ষা করে কাজ করতে হবে। ভোটাররা যেন নিবিের্ঘœ ভোট দিতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে।’ দেশের বিভিন্ন জেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদশের্নর পর ইতিবাচক মূল্যায়ন পাওয়া গেছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘আগের ব্যবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে, ব্যালট বাক্স রাত থেকে পাহারা দিতে হয়। ইভিএমে লাগে না। বরং ইভিএমের মাধ্যমে নিবার্চনের ফলাফল দিনের মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে প্রকাশ করা যায়।’ নুরুল হুদা আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হলে নিবার্চনের আগে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে নিবার্চন কমিশন। এতে পোলিং এজেন্টরা তাদের দায়িত্ব ও কতর্ব্য সম্পকের্ আরও সচেতন হবে। দলে নিবার্চনে দায়িত্ব পালন আরও সহজ হবে। দলগুলো সম্মত হলে প্রথমবারের মতো নিবার্চনের আগে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন কে এম নুরুল হুদা। সেই সঙ্গে ভোটাররা যেন নিবিের্ঘœ ভোট দিতে পারেন সে জন্য কাজ করতে নিবার্চন কমর্কতাের্দর নিদের্শনা দেন তিনি। সিইসি বলেন, দলগুলো সম্মত হলে প্রথমবারের মতো নিবার্চনের আগে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের কী কী কাজ, কী দরকার জানা থাকলে নিবার্চন পরিচালনা সুবিধা হবে। তিনি বলেন, এবার ৪০ হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে দুই লাখেরও বেশি ভোটকক্ষ থাকবে। সে ক্ষেত্রে অন্তত ১০ লাখের মতো পোলিং এজেন্ট থাকতে পারে। সভায় আরও বক্তব্য দেন নিবার্চন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।