লাগাতার অবস্থান কমর্সূচিতে নামছেন এসিটি শিক্ষকরা

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যথর্ চেষ্টার পর আজ থেকে লাগাতার অবস্থান কমর্সূচিতে নামছেন সেকায়েপ প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ পাওয়া প্রায় ছয় হাজার এসিটি শিক্ষক। এমপিওভুক্তিকরণ বা অন্য প্রকল্পে স্থানান্তর বিষয়ে কোনো সমাধান না আসা পযর্ন্ত যে কোনো মূল্যে এ কমর্সূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষকরা। প্রসঙ্গত, এ মাসের গোড়ার দিকে এক দফা অবস্থানের পর মন্ত্রণালয় এ সব শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ী করার বিষয়ে আলোচনা করেও কোনো সমাধানে পেঁৗছাতে ব্যথর্ হয়। মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা এবং পুলিশের অনুরোধের কারণে গত ১০ অক্টোবর এ শিক্ষকরা রাস্তা ছেড়ে যান। কিন্তু তারপরও কোনো সমাধান না আসায় নতুন করে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছেন এ সব শিক্ষকরা। এদিকে সেকেন্ডারি অ্যাডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ)-এর আওতায় নিয়োগ পাওয়া আরও প্রায় দেড় হাজার রিসোসর্ টিচার (আরটি)-এর চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বরে। সে প্রকল্পের মেয়াদও আর না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। ফলে তারাও এ শিক্ষকদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। এতে করে আজ এ শিক্ষকদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর আগে গত সাত, আট ও নয় অক্টোবর তিনদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দিনব্যাপী অবস্থান নেয় বাংলাদেশ এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষকরা। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালিয়েও ব্যথর্ হয়। এ শিক্ষকরা যায়যায়দিনকে জানিয়েছেন, তারা শন্তিপূণর্ভাবে সকাল ১০টা থেকে শুরু করে দাবি আদায় না হওয়া পযর্ন্ত এখানে অবস্থান নেবেন। পুলিশ যদি তাদের উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে তবে তারা রাস্তায় শুয়ে পড়বেন বলেও জানিয়েছেন এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এ মাসের শুরুর দিকে শিক্ষকদের অবস্থানের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক দফা বৈঠকে বসে। তবে সে বৈঠকে এ শিক্ষকদের অন্য প্রকল্পে স্থানান্তর বা এমপিওভুক্তির মাধ্যমে স্থায়ী করার বিষয়ে আলোচনা হলেও অথের্র নিশ্চয়তা না হওয়ায় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি মন্ত্রণালয়। খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, এ শিক্ষকরা যেন আবার রাস্তায় না বসে সে জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নানাভাবে চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু এ শিক্ষকদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় তারা আবারও রাস্তায় নামছেন।