‘সরকারি চাকরি আইন’ পাস না করার আহŸান টিআইবির

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কমর্কতাের্দর গ্রেফতারের আগে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণের বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’Ñএর খসড়া গত ২১ অক্টোবর জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দক্ষ, জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন নিশ্চিতে খসড়া আইনটির এই বৈষম্যমূলক বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘষির্ক হওয়ায় আইনটি পাস না করার জন্য জাতীয় সংসদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। সোমবার টিআইবি আউট-রিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ আহŸান জানানো হয়েছে। টিআইবির নিবার্হী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রস্তাবিত ধারাটি বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থি। কারণ একই অপরাধে জড়িত হলে সাধারণ নাগরিক ও জনপ্রতিনিধিদের জন্য যেখানে পূবার্নুমতির প্রয়োজন নেই, সেখানে কোনও বিশেষ মহলের জন্য পূবার্নুমতির বিধান সংযুক্ত করা আইনের চোখে সব নাগরিকের সমান অধিকারের যে সাংবিধানিক বিধান, তার সঙ্গে সাংঘষির্ক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনটি এভাবে পাস হলে বতর্মান সরকারের আমলে প্রণীত ও বাস্তবায়নরত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের সঙ্গেও এটি সম্পূণর্ বিপরীতমুখী হবে। এছাড়া উল্লিখিত ধারাটি ফৌজদারি কাযির্বধি ১৮৯৮ এর ৫৪ ধারার সঙ্গেও সরাসরি সাংঘষির্ক, যেখানে আমলযোগ্য অপরাধে জড়িত থাকলে, বা জড়িত থাকার ব্যাপারে মামলা হলে বা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য বা সন্দেহ থাকলেও বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’ টিআইবির নিবার্হী পরিচালক বলেন, এছাড়া জাতীয় সংসদে উত্থাপিত খসড়া ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কমর্কতাের্ক গ্রেফতারে পূবার্নুমতি গ্রহণের যে বিধান সন্নিবেশিত হয়েছে, তা প্রজাতন্ত্রের কমর্কতাের্দর সততা, স্বচ্ছতা, উন্নততর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন নিশ্চিতের পরিপন্থি ও উদ্বেগজনক হবে।’ উল্লিখিত বিধান রেখে আইনটি পাস হলে বাস্তবে সরকারি খাতে অনিয়ম ও দুনীির্তর প্রতিরোধ দূরে থাকুক, আইনের ছত্রছায়ায় এ ধরনের অপরাধ সুরক্ষা পাবে ও এর ব্যাপকতা বাড়ার ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাবে, উল্লেখ করে টিআইবির নিবার্হী পরিচালক বিধানটির পুনবিের্বচনার জন্য সরকারের প্রতি ও বিশেষ করে সংসদীয় কমিটির প্রতি আহŸান জানান।