আঙ্কটাড সম্মেলন মানবসম্পদে বিনিয়োগের আহŸান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

বিডি নিউজ
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বেশি বিনিয়োগ করতে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) বিশ্ব বিনিয়োগ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষা এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমাদের বেশি বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। এর মাধ্যমেই আমরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারব।’ জেনিভায় জাতিসংঘ দপ্তরে চার দিনের এ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, মন্ত্রী, বিনিয়োগকারী, সরকারি কমর্কতার্, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিবার্হী এবং আন্তজাির্তক উন্নয়ন সংস্থার কয়েক হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সম্পকির্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা এবং এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের একটি উচ্চপযাের্য়র বৈশ্বিক ফোরাম হচ্ছে বিশ্ব বিনিয়োগ সম্মেলন। এ বছর এ সম্মেলনের একদশক পূণর্ হচ্ছে, এবারের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘টেকসই উন্নয়নে বিনিয়োগ’। বিশ্বায়নের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে আবদুল হামিদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিশ্বায়ন নতুন কোনো বিষয় না হলেও এর নেতিবাচক প্রভাবগুলো দেখা যাচ্ছে। শিল্পবিপ্লব এবং বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন বছরের পর বছর ধরে এই প্রভাবকে বাড়াচ্ছে। বিংশ শতাব্দীতে নজিরবিহীন প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং যোগাযোগের ওপর এর প্রভাব পণ্য ও সেবার স্থানান্তরে বিপ্লব আনলেও সম্পদের সুফল প্রত্যেক মানুষের কাছে সমানভাবে পৌঁছেনি।’ তিনি বলেন, ‘আন্তজাির্তক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎপাদনে খরচ কমে গেছে। ফলে বিভিন্ন দেশের কমর্সংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় বিশ্বায়নের প্রতি মানুষের অবিশ্বাস এবং আন্তজাির্তক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রতি বৈরী ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে।’ ‘কীভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যায় সে বিষয়গুলো বিনিয়োগ নীতিমালা তৈরিতে অন্তভুর্ক্ত করতে হবে, যাতে আরও বেশি মানুষ বিশ্বায়নের সুফল পেতে পারে।’ বিনিয়োগের সুফল তুলে ধরে সম্মেলনের ‘গেøাবাল লিডারস ইনভেস্টমেন্ট সামিটে’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিনিয়োগ সরসারি দেশীয় ব্যয় বৃদ্ধি করে এবং অথের্র প্রবাহ বাড়ায়, আধুনিকতা আনে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে। বৈদেশিক বিনিয়োগ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নতুন নতুন উদ্ভাবন আনে। প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে এবং বিশ্ব বাজারে প্রবেশে সহায়তা করে।’ উন্নয়ন দেশগুলোতে বিনিয়োগ কম হওয়ার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের বিষয়টি না ভেবেই যেখাতে দ্রæত মুনাফার সুযোগ আছে বিনিয়োগ সেখানে বেশি হচ্ছে। উন্নয়নশীল ও স্বল্প উন্নত দেশগুলোতে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং যোগাযোগসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ পাচ্ছে না।’