খালেদার আইনজীবীদের আদালত বজর্ন

এতিমখানার আপিলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের শুনানি শেষ

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুনীির্ত মামলায় বিচারিক আদালতের দÐের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে করা আবেদনের ওপর দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোটর্ বেঞ্চে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটনির্ জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। পরে খুরশীদ আলম খান জানান, দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি শেষ করেছে। আসামিপক্ষে সময় চেয়েছেন আইনজীবীরা। কিন্তু আদালত সময় দেয়নি। এরপর তারা আদালত কক্ষ থেকে চলে যান। পরে আদালত আদেশের জন্য বুধবার দিন রেখেছে। তিনি বলেন, ‘এই মামলায় সবোর্চ্চ সাজা যাবজ্জীবন। আমরা খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে আবেদন করেছি। তাই শুনানিতেও সবোর্চ্চ সাজা চেয়েছি।’ এই মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক। খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার বাকি দুই আসামি হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিনজন হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। গত ৮ ফেব্রæয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পঁাচ বছরের কারাদÐ দেন। একই সঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদÐ দেয় আদালত। রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রæয়ারি বিকালে রায়ের সাটির্ফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোটের্র সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রæয়ারি তারা এই আবেদন করেন। গত ২২ ফেব্রæয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অথর্দÐ স্থগিত করে নথি তলব করেন। এরপর ৭ মাচর্ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোটর্। পরে ২৮ মাচর্ খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর জন্য দুদকের করা আবেদনে রুল দিয়েছে হাইকোটর্। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। এখন তিন আসামির আপিল ও দুদকের আবেদনের রুল আদালতে শুনানি হচ্ছে। মামলায় খালেদা জিয়াকে ১২ মাচর্ হাইকোটর্ চার মাসের জামিন দেয়। পরে কয়েক দফা তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। খালেদার আইনজীবীদের আদালত বজর্ন এদিকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার দÐ থেকে খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানিতে আদালত বজর্ন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। নথিপত্র নিয়ে সম্পূরক আবেদনের বিষয়ে বিচারক আদেশ না দেয়ায় তারা আদালত বজর্ন করেন। এ বিষয়ে আইনজীবীরা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার অথের্র উৎসের বিষয়ে পরিষ্কার হওয়ার জন্য অতিরিক্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চেয়ে একটি আবেদনের বিষয়ে আদেশ না পেয়ে আদালত বজর্ন করেছেন তার আইনজীবীরা। খালেদার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সোমবার মামলার অথের্র উৎসের বিষয়ে আপনারা যে আদেশ দিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাব।’ জবাবে আদালত বলেন, ‘আপনারা আপিল বিভাগে যেতে পারেন। এরপর এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত আসা পযর্ন্ত মামলার কাযর্ক্রম মুলতবি করেন।’ জবাবে আদালত বলেন, মুলতবির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হলো। এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে আমরা শুনানিতে অংশগ্রহণ করছি না। আমরা শুনানি থেকে বিরত থাকছি।’ এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালত থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলী ছাড়াও খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, আমিনুল ইসলাম, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মো. আখতারুজ্জামান প্রমুখ আদালত থেকে বেরিয়ে যান।