আজকের যায়যায়দিন

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, সব দলের গ্রহযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন এবং খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি বিএনপির প্রধান এই তিনটি দাবি আদায়ে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন দলটির মধ্যম সারির নেতারা। বুধবার নির্বাহী কমিটির সিরিজ বৈঠকের দ্বিতীয় দিন উপস্থিত নেতারা আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে হাইকমান্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বেশির ভাগ নেতারই আন্দোলনের পক্ষে মত ছিল। তাদের অনেকের বক্তব্যে সংগঠনের বেহাল দশাও ফুটে উঠেছে। সংগঠন শক্তিশালী করার ব্যাপারে মত দেন অনেকে। তবে করোনাকালে হেল্প সেল গঠন করার প্রশংসা করেছেন কেউ কেউ। নেতৃত্বে বিএনপিকে রেখে জোট রাজনীতি নিয়ে ভাবার পরামর্শও দিয়েছেন নেতারা। পাশাপাশি দলের কূটনীতিক দুর্বলতাগুলো শনাক্ত করে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার মতও ছিল।

বিকাল ৪টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। লন্ডনপ্রবাসী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। মঞ্চে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দলের যুগ্ম মহাসচিব-সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদক মিলে ৯৫ জন উপস্থিত ছিলেন। নেতারা হলেন- যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশীদ, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মাহবুবের রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, মোস্তাক মিয়া, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সম্পাদকদের মধ্যে- সালাহউদ্দিন আহমেদ, আনম এহছানুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শিরিন সুলতানা, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, আশরাফউদ্দিন উজ্জ্বল, লুতফুর রহমান কাজল, আনিসুজ্জামান খান বাবু, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জয়নাল আবেদীন, নুরে আরা সাফা, ডা. রফিকুল ইসলাম, খালেদ মাহবুব শ্যামল, এএমএ নাজিম উদ্দিন, সোহরাব উদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জিকে গাউস, গৌতম চক্রবর্তী, আবুল কালাম আজাদ, শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, আসাদুজ্জামান আজাদ, মীর সরফত আলী প্রমুখ। সহ-সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন- এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কুদ্দুসুর রহমান, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, রুমিন ফারহানা, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, শহিদুল ইসলাম বাবুল, রওনকুল ইসলাম টিপু, ইকবাল হোসেন, মাহবুবুল হক নান্নু, হারুনুর রশীদ, শামীমুর রহমান শামীম, শরীফুল আলম, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আমিরুজ্জামান শিমুল, এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, জয়ন্ত কুমার কুন্ড, মাশুকুর রহমান, কাদের গনি চৌধুরী, হুমায়ুন কবীর খান, ফিরোজ-উজ জামান মোলস্না, ওয়ারেস আলী, হারুনুর রশীদ হারুন, নিলোফার চৌধুরী মনি, রেহানা আক্তার রানু, শাম্মী আখতার, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, খালেদ হোসেন চৌধুরী পাইন, ফরিদা মনি শহিদুলস্নাহ, জালাল উদ্দিন মজুমদার, মাহবুবুল হাসান বাবু, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, নজরুল ইসলাম আজাদ, আমিরুল ইসলাম আলীম, হেলেন জেরিন খান, শাহাবুদ্দিন সাবু, কাজী আবুল বাশার, অর্পনা রায় দাস, দীপেন দেওয়ান, অমলেন্দু অপু, আবদুল বারী ড্যানি, চৌধুরী আবদুলস্নাহ আল ফারুক, শফিকুল হক মিলন, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, রফিকুল কবির লাবু, আশরাফ উদ্দিন বকুল, এসএম গালিব, মনিষ দেওয়ান ও ওয়াদুদ ভুঁইয়া।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মকৌশল ঠিক করার লক্ষ্যে নেতাদের মতামত জানতে মঙ্গলবার থেকে এই ধারাবাহিক বৈঠক শুরু হয়। প্রথম দিন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মতামত জেনেছেন তারেক রহমান। সাড়ে ৪ ঘণ্টার ওই বৈঠকে ২৮ জন নেতা আগামী নির্বাচন ও দলের করণীয় বিষয়ে মতামত দেন। বৃহস্পতিবার বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে তিন দিনের ধারাবাহিক বৈঠক শেষ হবে। এরপরই তিন দিনের বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন / বিএনপির চিন্তাধারা ছিল আমরা হাত পেতে চলব : প্রধানমন্ত্রী

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার আগে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রম্নয়ারি দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল। তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রথম সিরিজ বৈঠক।