৬২'র শিক্ষা আন্দোলন ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট ন্যাপ মহাসচিব

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
এ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে শিক্ষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল উলেস্নখ করে ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেছেন, ৬২'র শিক্ষা আন্দোলন ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট। অথচ সেই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবেও পালন করা হয় না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। শুক্রবার শিক্ষা দিবস উপলক্ষে হাইকোর্ট মোড়ে শিক্ষা চত্বরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের পক্ষ থেকে ১৯৬২'র শিক্ষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা দিবসের ৫৯ বছর পরও ছাত্রসমাজের সর্বজনীন শিক্ষার যে আকাঙ্ক্ষা, তা আজও পূরণ হয়নি। কিছুটা সংশোধন হলেও সেই ব্রিটিশ-পাকিস্তানি আমলে কেরানি কর্তৃক নির্মিত শিক্ষাব্যবস্থা এখনো বহাল আছে। বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় চরম নৈরাজ্যকর অবস্থা বিরাজ করছে। ১৯৬২ সালের এ দিনটিকে স্মরণ করে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় নৈরাজ্যকর অবস্থার বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ও সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ৬২'র শরীফ শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, পরবর্তী সময়ে ৬৬'র হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী ও ছয় দফার আন্দোলন, ১৯৬৯-এর নুর খান শিক্ষা কমিশন ও গণঅভু্যত্থান এবং ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় গভীর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এ শিক্ষানীতির প্রতিবাদ ও আন্দোলনগুলো। সেদিন বাংলার ছাত্রসমাজই পালন করেছিল নতুন ইতিহাস নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা।