স্কুলের টয়লেটে প্রতিবন্ধী ছাত্রীর ১১ ঘণ্টা!

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি ডেস্ক
বিদ্যালয়ের বাথরুমে আটকা পড়ায় ক্লাস ছুটির পর সবাই বাড়ি গেলেও ফিরতে পারেনি বাকপ্রতিবন্ধী শারমিন। পরে রাত ১০টার দিকে পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক তরুণের দৃষ্টিগোচর হলে বাথরুমের তালা ভেঙে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের হোসেনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর দক্ষিণ পাড়া হাজী বাড়ির আনোয়ার হোসেনের মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী শারমিন আক্তার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিদ্যালয় ছুটির পর টয়লেটে যায়। সেখান থেকে বের হওয়ার আগেই বিদ্যালয়ের আয়া শাহানারা আক্তার শানু বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দেন। বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় কাউকে ডাকতে না পেরে টয়লেটে আটকা পড়ে শারমিন। এ সময় বারবার কথা বলার চেষ্টা করতে গিয়ে তার গলা ও মুখ রক্তাক্ত হয়ে যায়। এদিকে ছুটির পর মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তার বাবা বিভিন্ন ছাত্রী ও আত্মীয়ের বাড়িতে খুঁজতে থাকেন। রাত ১০টার পর স্থানীয় স্বর্ণকার বাড়ির আল আমিন বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী পুলের ওপর গেলে বাথরুমে আওয়াজ পেয়ে ওই ছাত্রীর উপস্থিতি শনাক্ত করে। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। বিদ্যালয়ের আয়া শাহানারা আক্তার শানু জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় নয়, বিকাল ৪টার দিকে বাথরুমের তালা বন্ধ করেছেন। তবে ভেতরে কেউ আছে কি না তা না দেখেই দরজা বন্ধ করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমীর হোসেন বলেন, তিনি বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজে বিদ্যালয়ে ছিলেন। বের হওয়ার আগ পর্যন্ত এমন কিছু তার নজরে পড়েনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ চৌধুরী জানান, তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, ঘটনা অবগত হয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ চৌধুরীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের কারও গাফিলতি পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।