শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
খুবির এফএমআরটি ডিসিপিস্নন আয়োজিত কর্মশালায় উপাচার্য

কাঁকড়া চাষ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থান হতে পারে

খুলনা অফিস
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

কাঁকড়া চাষ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর অন্যতম বিকল্প কর্মসংস্থান হতে পারে উলেস্নখ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মাহমুদ হোসেন বলেছেন, কাঁকড়া চাষের ওপর গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। আর এই গবেষণা কার্যক্রমের ফলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষার্থী-গবেষকরা উপকৃত হবেন।

শনিবার সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি (এফএমআরটি) ডিসিপিস্ননের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালার বিষয় ছিল- 'বাংলাদেশে টেকসই কাঁকড়া চাষে ব্যাকটেরিয়া কি হুমকি' (অৎব ইধপঃবৎরধ অ ঞযৎবধঃ :ড় ঝঁংঃধরহধনষব গঁফ ঈৎধন অয়ঁধপঁষঃঁৎব ড়ভ ইধহমষধফবংয?).

ডক্টর মাহমুদ হোসেন বলেন, সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে কাঁকড়ার ভূমিকা রয়েছে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে কাঁকড়ার পোনা আহরণের ফলে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় এলাকার জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদনের মাধ্যমে এই ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন ও সরবরাহ করা গেলে কাঁকড়া চাষ আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারবে। চিংড়ি চাষের পাশাপাশি কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে আরও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কাঁকড়া চাষ করে চীন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড সফলতা পেয়েছে। আমাদের দেশেও কাঁকড়া চাষ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন। সুন্দরবনে কি পরিমাণ কাঁকড়া রয়েছে তা নিয়েও এটি জরিপের প্রয়োজন।

উপাচার্য তার বক্তব্যে শুরুতে কাঁকড়া নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গবেষণাকারী শিক্ষক প্রয়াত প্রফেসর ডক্টর দীপক কামালকে স্মরণ করেন এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

এফএমআরটি ডিসিপিস্ননের প্রধান প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সদস্য-পরিচালক (ফিশারিজ) ডক্টর মো. মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও সাব-প্রজেক্ট ০২৯-এর কো-অর্ডিনেটর ডক্টর মো. জুলফিকার আলী। স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রকল্পের সহকারী মুখ্য গবেষক এফএমআরটি ডিসিপিস্ননের প্রফেসর ড. গাউছিয়াতুর রেজা বানু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের মুখ্য গবেষক এফএমআরটি ডিসিপিস্ননের প্রফেসর ডক্টর এএফএম হাসানুজ্জামান। পরে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করেন পিএইচডি গবেষক এফএমআরটি ডিসিপিস্ননের সহযোগী অধ্যাপক মো. রাশেদুল ইসলাম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে