আজকের যায়যায়দিন

বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখ মানুষের মৃতু্য হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও)। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতি বছর প্রাণ হারায় ২০ লাখ মানুষ। বায়ুদূষণের কারণে সৃষ্ট ফুসফুস ক্যানসার, হৃদরোগ, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে এসব অকাল মৃতু্যর ঘটনা ঘটে থাকে।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করতে এখনই জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বায়ুদূষণের কারণে বেশি প্রাণহানি হওয়া দেশগুলোতে শ্বাসযন্ত্র ও হৃদরোগজনিত রোগে মানুষের মতু্য কমাতে বায়ুর মান নিয়ে নতুন এক নির্দেশনা দিয়েছে ডবিস্নউএইচও। ২০০৫ সালের পর এই প্রথম এই ধরনের নির্দেশনা দিল সংস্থাটি।

ওই নির্দেশনায় ১৯৪টি সদস্য দেশকে বায়ুতে বস্তুকণা এবং নাইট্রোজেন অক্সাইডসহ অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতির মাত্রার সর্বোচ্চ সীমা কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

১৩ বছরে মৃতু্য ৩৪০৭ / নতুন আতঙ্কের নাম বজ্রপাত

ডবিস্নউএইচও'র মতে, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম পরিবেশগত হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। ফলে বায়ুর মান নিয়ে তাদের নতুন গাইডলাইন বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে লাখ লাখ মানুষকে সুরক্ষা দেবে।

এদিকে ডবিস্নউএইচও'র এয়ার কোয়ালিটি গাইডলাইনস বিষয়ক নতুন নির্দেশনায়, বাতাসে ভাসমান কণার পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম১০ ও পিএম২.৫, ওজোন, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড ইত্যাদির বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, হালনাগাদ নির্দেশনা অনুযায়ী চললে এবং বায়ুদূষণ কমিয়ে আনলে পিএম২.৫ এর কারণে হওয়া প্রাণহানির প্রায় ৮০ শতাংশ কমানো সম্ভব। সূত্র: রয়টার্স