রাইড শেয়ারিং ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের বাইকে আগুন ধর্মঘটে চালকরা

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস পাঠাওয়ের মোটর সাইকেল চালক শওকত আলম সোহেল নিজের মোটর সাইকেলে নিজেই আগুন দিয়েছেন। সোমবার সকালের দিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, শওকত আলম সোহেল ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো মামলার বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। ওই প্রতিক্রিয়ার এক পর্যায়ে তিনি নিজের মোটর সাইকেলে পেট্রোল ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। আশপাশে থাকা লোকজন মোটর সাইকেলে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে এতে ওই চালক বাধা দেন। তিনি আরও পেট্রোল ঢেলে দিলে মোটর সাইকেলটিতে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে আগে থেকেই ট্রাফিক সদস্যদের বলা ছিল কোনো মোটর সাইকেল সকালবেলা সেখানে দাঁড়াবে না। ঘটনাস্থলে রাইড শেয়ারিংয়ের একটি মোটর সাইকেল দাঁড়ালে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা তার কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু মোটর সাইকেল চালক কাগজপত্র না দেখিয়ে উলটো রেগে নিজের বাইকে নিজেই আগুন ধরিয়ে দেন। এদিকে, কোম্পানিগুলোর কমিশন ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা, পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে মঙ্গলবার সারা দেশে ধর্মঘট ডেকেছে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারের গাড়িচালকরা। পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে ঢাকার বাড্ডায় রাইড শেয়ারের এক চালকের নিজের মোটর সাইকেলে আগুন দেওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সংক্রান্ত দাবি নামাও যুক্ত হয়েছে ছয় দফার মধ্যে। 'অ্যাপ বেইজড ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ' সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে। কর্মসূচি আহ্বানকারীদের ছয় দফার মধ্যে রয়েছে- রাইড শেয়ারিং চালকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, রাইড শেয়ারিংয়ের কমিশন ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ, ঢাকাসহ বড় শহরগুলোয় রাইড শেয়ারিং যানবাহন দাঁড়ানোর জায়গা বরাদ্দ, পুলিশি হয়রানি বন্ধ, রাইড শেয়ারিংয়ে তালিকাভুক্ত যানবাহনগুলোকে অগ্রিম আয়করের বাইরে রাখা এবং গত বছর রাইড শেয়ারিং যানবাহনের কাছ থেকে আদায়কৃত অগ্রিম আয়কর মালিকদের ফেরত দেওয়া। ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ বলেন, 'পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি আমাদের অনেক দিনের। অ্যাপের গাড়ি (কার) সামান্য অজুহাত পেলেই পুলিশ মামলা দিয়ে দেয়। এইসব হয়রানি বন্ধ করতে হবে।'