রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক দেয়ায় খুশি নন অথর্মন্ত্রী

প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
দেশের অথর্নীতির আকারের তুলনায় বতর্মানে ব্যাংক ও আথির্ক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি এমন মত খোদ অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের। এরপরও রাজনৈতিক বিবেচনায় আসছে আরও চার ব্যাংক। এসব ব্যাংক অনুমোদনে সুপারিশ করতে বাধ্য হয়েছেন অথর্মন্ত্রী। তবে এসব ব্যাংকের অনুমোদনে খুশি নন বলেন মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে অথর্নীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোটার্সর্ ফোরামের (ইআরএফ) কাযির্নবার্হী কমিটির সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। ইআরএফের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলালের নেতৃত্বে এ সময় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অথর্মন্ত্রী এক প্রশ্নে জবাবে বলেন, ‘এভাবে ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ায় আমি (ভেরি আনহ্যাপি) খুবই অখুশি। এসব ব্যাংক খুব সত্বর মাজার্র (এককীভ‚ত) শুরু হবে।’ এ সময় নতুন ব্যাংক দেয়ার কোনো দরকার ছিল না। তহলে দেয়া হচ্ছে কেনÑ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পলিটিক্যাল গ্রাউন্ডে দেয়া হচ্ছে। এর আগে একজন সাবেক মন্ত্রীকে ব্যাংক দেয়ার অভিজ্ঞা ভালো নয়, আবার একজন মন্ত্রীর আত্মীয় ব্যাংক পেতে যাচ্ছে এতে পুনরায় খারাপ অভিজ্ঞা আসবে কিনাÑ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনেক মিনিস্টারই ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সংখ্যা বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলো একীভ‚ত করা হবে। এ জন্য আইন ঠিকঠাক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আগামী নিবার্চনে ক্ষমতায় আসলেই একীভ‚তের কাজ শুরু হবে। যদি অন্য কেউ আসে, তাহলে তাদেরও ব্যাংক সংস্কারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়ে যাব।’ এদিকে গত ২৪ অক্টোবর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অথর্মন্ত্রী বলেন, বতর্মানে ভালো তবে ব্যাংকিং খাত খুব বেশি বড় হয়ে গেছে। অনেক ব্যাংক অনেক আথির্ক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংক ও আথির্ক প্রতিষ্ঠান দুটিই বেশি। এটা মনে হয় একটু সীমিতকরণ (কনস্যুলেশন) দরকার হতে পারে। এদিকে শুরুতে আপত্তি জানালেও শেষ পযর্ন্ত রাজনৈতিক বিবেচনায় আরও চার ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সবুজ সংকেত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারের শেষ সময় সায় পাওয়া চার ব্যাংক হলো কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশ, দ্য বেঙ্গল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক এবং দ্য সিটিজেন ব্যাংক। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যদের মালিকানায় কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশকে চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে বাকি তিন ব্যাংকের কিছু কাগজপত্রে ত্রæটি থাকায় চ‚ড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। এর আগেও রাজনৈতিক বিবেচনায় ৯টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয় শেখ হাসিনার নেতৃতাধীন মহাজোট সরকার। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ায় শুরু থেকেই সমালোচনা করে আসছেন অথৈর্নতিক বিশ্লেষকরা। তবে সমালোচনা উপেক্ষা করে গত ২৯ অক্টোবর গভনর্র ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পষের্দর সভায় নতুন চার ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিবার্হী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, পষের্দর সভায় চারটি ব্যাংকের প্রস্তাব তোলা হয়। একটি ব্যাংকের চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাকি তিনটি শতর্সাপেক্ষে অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের প্রস্তাব ও নথিপত্রে কিছু ঘাটতি ও ত্রæটি রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করলেই অনুমোদন দেবে পষর্দ। তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশ চালুর প্রস্তাব করে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত মিলেছে। গত ২৯ অক্টোবর চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।