খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয় :ফখরুল

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেসব রোগে আক্রান্ত সেগুলোর চিকিৎসার জন্য মানসম্মত হাসপাতাল দেশে নেই। তার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। এরপরও সরকার তাকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে দিচ্ছে না। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আফসার আহমদ সিদ্দিকীর ২০তম মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে আফসার আহমদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য খন্ডন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, আমরা নাকি হরঙ্গিন খোয়াব দেখছি। আর আপনারা কী দেখছেন? আপনারা দুঃস্বপ্ন দেখছেন- এই বিএনপি আসলো, এই বিএনপি আসলো, এই আমাদের ক্ষমতা গেল- এই দুঃস্বপ্ন আপনারা দেখছেন।' দেশের অবস্থা তুলে ধরে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, 'দেশের এ অবস্থা থেকে বেরুতে হবে। এখন সংগঠিত হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা যাবে না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা ধাক্কা দিতে হবে। সত্যজিত রায়ের হীরক রাজার দেশে'র মতো- দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান। ওই দড়ি ধরে টান মারতে হবে, রাজাকে খান খান করে ফেলে দিতে হবে। এছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এরা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে দেশের মানুষের ক্ষতি করতে থাকবে।' ই-কমার্সের নামে গ্রাহকদের অর্থ লোপাটের সঙ্গে ক্ষমতাসীনরাই জড়িত অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষসতাসীনরাই এর সঙ্গে জড়িত। ই-কমার্সের একজনের ছবি দেখলাম সরকারপ্রধানের সঙ্গে। এসব প্রতারক মানুষ যারা ক্ষমতার পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে তাদের নিঃস্ব করে দিচ্ছে তারা সরকারের প্রশ্রয়ে আছে। দেশের অর্থনীতির বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা একেবারে ফোকলা করে দিয়েছে। কিচ্ছু নেই। একেবারে খালি, একেবারে পুরোপুরিভাবে লুট করে নিয়ে গেছে। প্রত্যেকটি ব্যাংক আজ বিপদগ্রস্ত হয়ে আছে। ব্যাংকাররাও বলবেন, সব শেষ। একজন বড় অর্থনীতিবিদ বলেন, এদেশে যারা ব্যাংকে টাকা রাখে বা ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। প্রতিটি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। সেটা জনগণের টাকা। ব্যাংক থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া কেউ ঋণ পান না। আওয়ামী লীগের মানুষই হচ্ছেন পরিচালক। ১০ কোটি টাকার ঋণ নিতে ৫ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয় আর ৫ কোটি টাকা ফেরত দিতে হয় না। কারণ আওয়ামী লীগের হুকুমে হয়েছে তার ঋণ। তাই ফেরত না দিলেও চলবে। তারা বিদেশে কানাডার বেগমপাড়ায় গিয়ে বাড়ি বানায়, মালয়েশিয়ায় গিয়ে সেকেন্ড হাউস তৈরি করে। এদেশে এটা চরমভাবে হচ্ছে। বর্তমান সরকার 'বর্গিদের মতো' অবস্থা তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক প্রয়াত নেতার সহধর্মিণী জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সদস্য জামিল আহমদ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।