শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পূজামন্ডপের হামলায় সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছে :মির্জা ফখরুল

যাযাদি রিপোর্ট
  ২০ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পূজামন্ডপে হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছে। এই আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশের মানুষ আরও বেশি কষ্ট পাবে। আজকে ডান, বাম সবাইকে এক হয়ে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে 'সৈনিক জীবন থেকে রাষ্ট্রনায়ক জিয়া' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম তার লেখা বইয়ে বলেছেন, যদি জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ড ১৯৮১ সালে না হয়ে '৭৫ সালে হতো তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা হতো আফগানিস্তানের চেয়ে ভয়াবহ। সেসময় রক্ষীবাহিনীর নির্যাতন মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ৪০ হাজার তরুণ, কিশোর, যুবককে হত্যা করা হয়েছে সেসময়ে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু দুঃখজনক যে তাকে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই হারিয়েছি। তিনি কৃষিতে বিপস্নব ঘটিয়েছিলেন। দেশকে উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। দেশের সাক্ষরতা হার বৃদ্ধি, মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করেন। আজকে দেশের উন্নয়নের কথা বলা হয়। কিন্তু দেশের সব উন্নয়নের ভিত রচনা করেছেন জিয়া।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ওপর চেপে বসা দানব সরকার এই সমাজ ভেঙে খান খান করে দিচ্ছে। ইতিহাস ঐতিহ্য সম্প্রীতি সব নষ্ট করে দিচ্ছে। আজকে দেশের নাগরিক হয়ে কেন তার ধর্মীয় দিবস উদ্‌যাপন করতে পারবে না। সরকার পরিকল্পিতভাবে এসব করছে। তারা '৭৫ সালে গণতন্ত্র নিজ হাতে হত্যা করে আবার গণতন্ত্রের কথা বলছে। আজকে দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যা আমরা চাইনি। আমরা স্বাধীন দেশে নাগরিক হয়ে থাকতে চাই।

অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতিবিদরা যেখানে ব্যর্থ সেখানে জিয়ার সফল উত্থান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রেরর মধ্যে সবাইকে সম্পৃক্ত করেন। তিনি দেশের সমৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ডক্টর আফম ইউসুফ হায়দার, অ্যাব'র সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মিয়া মো. কাইয়ুম, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে