শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়মে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি

অনুমোদনের অপেক্ষায় নতুন সফটওয়্যার ও পাইলটিং কার্যক্রম ম তদবির আর অনিয়ম ও বদলি বাণিজ্য ঠেকাতেই অনলাইনে আবেদন বাধ্যতামূলক
আমানুর রহমান
  ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
আপডেট  : ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০৯:২৬

দুই বছর বন্ধ থাকার পর আগামী জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সংশোধিত নীতিমালার আলোকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এখন থেকে আর কোনো লিখিত আবেদন গ্রহণ করা হবে না। জানা গেছে, প্রভাবশালীদের তদবির আর অনিয়ম ও বদলি বাণিজ্য ঠেকাতেই অনলাইনে আবেদন বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, শ্রেণিকক্ষের পাঠদান যেন ব্যাহত বা বিঘ্ন না ঘটে, এর জন্য বছরের প্রথম তিন মাস (জানুয়ারি থেকে মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম সীমিত রাখার বিধান করা হয়েছে সংশোধিত বদলি নীতিমালায়। তবে, মন্ত্রণালয় ইচ্ছা করলে যেকোনো শিক্ষককে যেকোনো সময়, যেকোনো এলাকায় বা বিদ্যালয়ে বদলির ক্ষমতা হাতে রাখা হয়েছে। সংশোধিত বদলি নীতিমালার আলোকে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন করে বদলি আবেদন গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রণালয় এবং ডিপিই সূত্র জানায়, বদলি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নতুন একটি সফটওয়্যার তৈরি এবং এর উদ্বোধনও সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও ডিপিই'র মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এটি উপস্থাপন করা হয়েছে। এ সময় কিছু ত্রম্নটি ধরা পড়লে

সেগুলো সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নতুন সফটওয়্যার চালুর আগে সেটি পাইলটিং হবে দেশের কোনো একটি উপজেলায়। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের আগে জেলার নাম প্রকাশ করতে রাজি নয় অধিদপ্তর।

সফটওয়্যারের সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং কবে নাগাদ এটি চালু হবে জানতে চাইলে ডিপিইর মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুর আলম শনিবার বিকালে যায়যায়দিনকে বলেন, 'কিছু পদ্ধতি ও আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে। নতুন সফটওয়্যার ও পাইলটিংয়ের অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, সহসাই সেটি পাওয়া যাবে এবং আগামী জানুয়ারি থেকে বদলি কার্যক্রম শুরু হবে নতুন পদ্ধতি ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে। কোনো লিখিত আবেদন এখন থেকে গ্রহণযোগ্য হবে না।'

ডিপিই সূত্রে আরও জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার জন্য বদলি আগ্রহী শিক্ষকদের নতুন করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হবে। প্রাপ্যতা ও যৌক্তিক কারণ থাকলে সহকারী শিক্ষকদের পছন্দের বিদ্যালয়ে বদলি করা হবে। এর জন্য কোনো তদবির-অনুরোধ-চাপ দিয়ে লাভ হবে না। এসব বন্ধে এই কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং মন্ত্রণালয় ও ডিপিইকেন্দ্রিক বদলি বাণিজ্য বন্ধ করতেই নতুন পদ্ধতি সংযোজন করা হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ করা হবে এবং জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম অনলাইনের আওতায় শুরু করা হবে। প্রাপ্যতা ও যৌক্তিক কারণ থাকলে সহকারী শিক্ষকদের পছন্দের বিদ্যালয়ে বদলি করা হবে কোনো ধরনের অনুরোধ-চাপ-তদবির ছাড়াই। করোনা পরিস্থিতি, নতুন সফটওয়্যার তৈরির অপেক্ষার কারণে প্রায় দুই বছর ধরে এই কার্যক্রম স্থগিত ছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে