বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব পোলিও দিবস আজ

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

আজ বিশ্ব পোলিও দিবস। আমাদের দেশের ক্ষেত্রে পোলিও মুক্তির সাফল্য অনেক বেশি গর্বের। ১৯৭৯ সাল থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করে সচেতন বাংলাদেশ। তবে পোলিও নির্মূলের জন্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পোলিও দিবস ধারাবাহিকভাবে পালন শুরু করে ১৯৯৫ সাল থেকে। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি

জোরদারকরণের ধারাবাহিকতায় ২৭ মার্চ ২০১৪ সালে বাংলাদেশকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পোলিওমুক্ত ঘোষণা করে। দিবসটি উপলক্ষে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোতে নানা কর্মসূচি পালন করবে রোটারি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংগঠন।

এদিকে, ১৯৮৮ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়ে আসছে 'বিশ্ব পোলিও দিবস'। রোটারি আন্তর্জাতিকের শ্রম, ঘাম, মেধা, বুদ্ধি আর অর্থ জোগানের প্রতিশ্রম্নতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে শুরু করে এই রোগ নির্মূল কর্মসূচি। প্রকৃতিতে স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাধ্যমে ছড়ানো পোলিও ভাইরাস দ্বারা সারা পৃথিবীর শিশুরা যখন আক্রান্ত, তখন জোনাস এডওয়ার্ড সল্ক ১৯৫২ সালে পোলিওর বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবনের ঘোষণা দেন।

এই টিকার কার্যোপযোগিতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে আরও দুই বছর। অবশেষে ১৯৫৪ সালের ২৩ ফেব্রম্নয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আর্সেনাল ইলিমেন্টারি স্কুল দ্য ওয়াটসন হোম ফর চিলড্রেন, পিটার্সবার্গ পেনসেলভেনিয়াতে পরীক্ষামূলকভাবে মানব শিশুর শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করা হয়। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪টি অঙ্গরাজ্যের ১৮ লাখ শিশুকে এই টিকার আওতায় আনা হয়। ১৯৫৭ সালে আলবার্ট সাবিন দুর্বলকৃত পোলিও ভাইরাস নির্মূলে দ্বিতীয় প্রকার টিকা, যেটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় খাওয়ার টিকা হিসেবে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়, আবিষ্কার করেন। দুই ধরনের টিকাই সারা পৃথিবীতে সর্বজনীনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থান, ভৌগোলিক পরিবেশ বিবেচনা করে খাওয়ানোর টিকাকেই নির্ভরযোগ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

১৯৩৬ সালে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মরিস ব্রম্নডি থেকে শুরু করে অনেক বিজ্ঞানী, ভাইরোলজিস্ট, ইমিউনোলজিস্ট যুক্তরাষ্ট্র, আলজেরিয়া ও নাইজেরিয়াসহ অনেক দেশে পোলিও আক্রমণের মহামারি ঠেকাতে টিকা, ওষুধ আবিষ্কারে নিরন্তর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। হাজার লাখ ডলার বিনিয়োগের এই গবেষণায় প্রথম সফলতা আসে জোনাস সল্কের হাত ধরে। সফল এই বিজ্ঞানীর জন্মদিন ২৪ অক্টোবরকে স্মরণীয়-বরণীয় করার জন্য রোটারি আন্তর্জাতিকের দীর্ঘমেয়াদি সফল প্রয়াস এই দিবস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে, ইউনিসেফ ও বিল গেটস অ্যান্ড মিলিন্দা ফাউন্ডেশনকে সাথে নিয়ে ১৯৮৮ সাল থেকে এই কাজ সমন্বিতভাবে শুরু করে রোটারি আন্তর্জাতিক আলবার্ট সাবিনের প্রস্তুতকৃত পোলিও টিকার ওপর ভর করে।

দিবসটি উপলক্ষে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোতের্ যালি ও লিফলেট বিতরণ করবে রোটারি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংগঠন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে